জলপাইগুড়ি, 4 এপ্রিল: সভামঞ্চে এসে মাঠ খালি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় এসে 20 মিনিট বসেও থাকতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ তারপর ভাষণ দিতে ওঠেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধমক খেলেন জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, স্কুলের ছাত্রদের মাঠে এনেও ভরানো গেল না মাঠ ৷ কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় কার্যত গিজ-গিজ করছে লোক ৷ সেখানে মমতার সভায় ফাঁকা চেয়ার পড়ে রইল ! এই সংক্রান্ত ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন বিজেপির শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ৷
অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতির সাফাই, মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময় নিয়ে একটা সমন্বয়ের অভাব হয়েছিল বলেই লোক আসতে দেরি করেছে। এদিন মালবাজারের সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর দুপুর দুটো নাগাদ চলে আসেন। কিন্তু এসে মঞ্চে উঠে দেখেন সভামঞ্চের সামনে জনসাধারণের জন্য পাতা আসন প্রায় ফাঁকা। মঞ্চের বাঁ-দিক, ডান দিক ও সামনের সারির পর পিছনেও চেয়ার ফাঁকা। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বসে থাকেন মঞ্চেই ৷ ধীরে ধীরে লোকজন এলে তারপর ভাষণ শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার কোচবিহার থেকে সভা সেরে জলপাইগুড়ির মালবাজারে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম কোচবিহারের মাথাভাঙার গুমানির উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়ার সমর্থনে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এরপর জলপাইগুড়ির মালবাজারে মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের মাঠে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে সভা করতে মালবাজারে আসেন। তবে মাল বিদ্যাভবনের মাঠে সভায় লোকজন তেমন দেখা যায়নি। কিন্তু সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। এদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, "আসলে মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময় নিয়ে একটা বিভ্রান্তির ফলেই লোকজন সময় মতো আসেনি। সভার পরে অনেক গাড়ি এসেছে।"
আরও পড়ুন
'সীমান্তে গুলি করেই বলছে বাংলাদেশি', শীতলকুচির প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার
'কে কাকে বিয়ে করবে তাও ঠিক করে দেবে', অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিজেপি'কে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর