সন্দেশখালি, 29 ফেব্রুয়ারি: নিজে খেলেন ! মিষ্টিমুখও করালেন সবাইকে । শেখ শাহজাহানের খাসতালুক সরবেড়িয়াতে এমনই দ্বৈত ভূমিকায় দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে । সেই সঙ্গে নাম না করে সন্দেশখালি কাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' ধৃত শাহজাহানের উদ্দেশ্যে কটাক্ষও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি । শুভেন্দুর কথায়, "কেউ একজন বলেছিল, এখানে নাকি এলে আমার ছাল-চামড়া তুলে নেবে ! বান্ডিল করে আমাকে ফের কাঁথিতে পাঠিয়ে দেবে । সেই কারণেই সরবেড়িয়ায় এসে আমি মিষ্টি খাচ্ছি ।"
সাধারণ মানুষকে মিষ্টি খাওয়ানোর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "একা খেতে নেই ! সবাইকে দিয়েই খেতে হয় । তাই মিষ্টিমুখ করাচ্ছি ।" এরপরই কার্যত হুঙ্কার দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, "দেখে যা, আমার ছাল-চামড়া আছে, নাকি কাঁথিতে গিয়েছে ।"
বৃহস্পতিবার উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ফেরার পথে হঠাৎই সরবেড়িয়ার শেখ শাহজাহান মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় । এরপর গাড়ি থেকে নেমে সোজা তিনি ঢুকে পড়েন স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে । সেই দোকান থেকে মিষ্টি কিনে, তা বিলি করতে থাকেন আমজনতার মধ্যে । নিজের হাতেও মিষ্টি খাইয়ে দেন কাউকে কাউকে ।
এরপর জনতার উদ্দেশ্যে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনাদের ন্যায়ের পক্ষে আছি । অন্যায়ের বিরুদ্ধে পাশে রয়েছি । কোনও সমস্যা হবে না ।’’ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এ দিন শেখ শাহজাহান মার্কেটের দিকেও অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায় নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে । সেই মার্কেটের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করছিলেন তিনি । তখন শাহজাহান মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ । তাঁরা শেখ শাহজাহানের অনুগামী নাকি অন্য কেউ, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি ।
এদিকে, সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবারও রামপুরে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এ দিন তিনি শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালি রওনা হয়েছিলেন । কিন্তু, রামপুরে পুলিশ প্রথমে আটকায় শুভেন্দুদের । পরে, হাইকোর্টের নির্দেশের কাগজপত্র দেখানো হলে পুলিশ যাওয়ার অনুমতি দেয় । সেই মতো এ দিন জেলিয়াখালিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা । গ্রামের মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা দেন । শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে এবং গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে এ দিন বরণ করে নেওয়া হয় শুভেন্দুকে ।
আরও পড়ুন: