কলকাতা, 13 এপ্রিল: ঈদের নমাজের মঞ্চকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করেছেন। এই অভিযোগ তুলেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরে গেল বিজেপির প্রতিনিধি দল। এই অভিযোগের পাশাপাশি আরও একাধিক অভিযোগ জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ আফতাবের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় বিজেপির এই প্রতিনিধি দল।
বিজেপির পক্ষ থেকে শিশির বাজোরিয়া অভিযোগ তুলে বলেন, "ঈদের নমাজের সময় রাজনৈতিক কথা বললেন। এটা হতে পারে না। ঈদের নমাজ তৃণমল কংগ্রেসের মঞ্চ ছিল না।" শিশির বাজোরিয়া বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মঞ্চ থেকে এনআরসি, সিএএ'র প্রসঙ্গ তুলে জানিয়েছেন, এনআরসি, সিএএ তিনি করতে দেবেন না। এনআরসি কি দেশে লাগু হয়েছে ? মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছা করে একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে ভয় দেখাচ্ছেন। আর তিনি এসব কথা ঈদের নমাজের সময় বলছেন। ঈদ ওই সম্প্রদায়ের আনন্দের উৎসব। মুখ্যমন্ত্রী সেই মঞ্চ থেকেও মানুষের মনে ভয় ঢোকাচ্ছেন।"
রেড রোডে ঈদের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভোট না-দেওয়ার কথাও বলেছেন ৷ এই বিষয়টি নিয়েও পালটা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শিশির বাজোরিয়া বলেন, "এই ধরনের কথা বলা স্পষ্টতই নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা।" তিনি আরও বলেন, "আসলে মুখ্যমন্ত্রী এদের মানুষই মনে করেন না, তাই এদের উৎসবের মূল্য ওনার কাছে তেমন নয়। এই উৎসবের মঞ্চ থেকে তিনি স্পষ্টভাবে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন।" কড়া পদক্ষেপ যাতে নেওয়া হয় কমিশনের কাছে সেই নিয়ে আর্জি জানায় বিজেপি। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেন্সর করার কথা জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে।
অন্যদিকে, চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমানের নামেও নালিশ জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, এই হামিদুর রহমান যা বলছেন তার থেকে স্পষ্ট যে নির্বাচনের পর ওদের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে ফের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তিন মাস যাতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে সেই আরজি জানানো হয়েছে। শিশির বাজোরিয়া বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস বুঝে গিয়েছে তারা হেরে যাবে। তাই তারা ভয় দেখাচ্ছে বিজেপিকে। হামিদুর রহমান প্রসঙ্গে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তার মানে এটা দলের কথা। দল এটাকে সমর্থন করে।"
দুয়ারে রেশনের নামে টাকা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। দার্জিলিংয়ে ওখানে সোজাসুজি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোটারদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে পদ্ম শিবির। এর থেকে পরিষ্কার যে ভোটারদের ঘুষ দেওয়া হচ্ছে এটা নির্বাচনী আচরণ বিধির পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: