মালবাজার, 10 এপ্রিল: 17 বছর পর এই প্রথম মালবাজার শহরে পা রাখতে পারলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং । গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে মালবাজারবাসীর সাপ আর নেউলের সম্পর্ক ছিল। সেই সময় মালবাজারের উপর দিয়ে বিমল গুরুংয়ের প্রকাশ্যে যাতায়াত করাটাও চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল ।
17 বছর পর বুধবার সেই মালবাজার শহরেই বিজেপির সভায় যোগ দিলেন বিমল গুরুং । মালবাজার কোনওদিনই বিমল গুরুংকে ঢুকতে দেয়নি । কারণ ছিল একটাই ৷ মালবাজার শহরের মানুষ কখনওই গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকে সমর্থন করেনি । তাই বিমল গুরুংয়ের মালবাজারে শহরে পা রেখে মিছিল করা বা সভা করার সাহস পাননি বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় সভা সমিতি করলেও একমাত্র মালবাজার শহরে কোনওদিনই আসার সাহস পাননি তিনি । বিমল গুরুং আসার খবর হলেই মালবাজারের মানুষ তা প্রতিহত করেছে সবসময় । গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমোর কোনও মিছিল বা পদযাত্রা হতে পারে এই খবরকে কেন্দ্র করে একাধিকবার উত্তাল হয়েছে মালবাজার শহর । গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ পর্যন্ত হয়েছে । এমনই এক ঘটনায় 2008-2009 সালে পুলিশকে গুলি পর্যন্ত চালাতে হয়েছিল ।
গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের ফলেই উত্থান বিমল গুরুংয়ের । রাজনৈতিক পালাবদল হলেও মালবাজার শহরের মানুষ সবসময়ই বিমল গুরুংয়ের গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর তীব্র বিরোধীতা করে গিয়েছেন । বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভাকে ঘিরে এই প্রথম মালবাজার শহরে পা রাখলেন মোর্চা সুপ্রিমো । মালবাজারের কলোনি ময়দানে বিজেপি প্রার্থী ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়ের সমর্থনে সভায় প্রচার আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেই সভায় বিমল গুরুং যোগ দেন । তাঁকে স্বাগত জানান জেলা বিজেপির সভাপতি বাপী গোস্বামী ও শুভেন্দু অধিকারী ।
2021 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে মালবাজার শহর সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর প্রচারে বিমল গুরুং এলেও মালবাজার শহরে তিনি কোনওদিনই আসেননি। বিমল গুরুং যতদিন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে রাজনীতি করেছেন ততদিন মালবাজারের তাঁকে না পসন্দ ছিল । আজ বিমল গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গ থেকে অনেকটা দূরে থেকে রাজনীতি করছেন বলেই মালবাজারে পা দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন অনেকে ।
আরও পড়ুন :