মেমারি, 30 এপ্রিল: বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে এসে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে চাঁছাছোলা আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরে বারবার সরব হয় রাজ্যের শাসকদল ৷ তার জবাব দিয়ে শাহ এ দিন দাবি করেন যে, রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার 10 লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে ৷ তৃণমূলের গুন্ডারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ রাজ্যে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় এলে সেই টাকা আদায় করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷
বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে এ দিন মেমারির রসুলপুরের বিষ্ণুপুর এলাকায় জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ দুর্নীতি থেকে সিএএ-সহ নানা ইস্যুতে এ দিন রাজ্যে তৃণমূলের নেতৃত্বাধীন সরকারকে তুলোধোনা করেন তিনি ৷ এবারের ভোটে রাজ্যের শাসকদলের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ ৷ কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাংলার জন্য বরাদ্দ একশো দিনের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের ৷ বিভিন্ন প্রচারসভায় এই কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছন, আগামী দিনে তাঁরা আর কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইবেন না ৷
তৃণমূলের এই অভিযোগেরই জবাব দিয়ে বাংলাকে কেন্দ্রের দেওয়া টাকার হিসেব দিয়েছেন অমিত শাহ ৷ তিনি এ দিন বলেন, "বাংলার বিকাশের জন্য 10 লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আপনারা কিছু পেয়েছেন ? কোথায় গেল টাকা ? কে খেয়ে নিল ? তৃণমূলের গুন্ডারা এই টাকা খেয়ে নিয়েছেন ৷ আমাদের আসন্ন ভোটে 30 আসন পাইয়ে দিন, আমরা ওদের উলটো করে টাকা বের করব ৷"
ইডি-সিবিআইয়ের 'অতি তৎপরতা' নিয়ে তৃণমূল বারবার অভিযোগ করলেও কেন্দ্র অপরাধীদের জেলে পাঠাবেই বলে দাবি করেন অমিত শাহ ৷ তিনি বলেন, "এক মন্ত্রীর ঘর থেকে 51 কোটি টাকা পাওয়া গেল, তাঁকে জেলে পাঠানো উচিত কি না ? দিদি যতই চিৎকার করুন, যারা বাংলার গরিব মানুষের টাকা খেয়েছেন, তাঁদের আমরা জেলে পাঠাবই ৷"
রাজ্যে খুব শিগগিরই বিজেপি সরকার গড়বে বলে এ দিন দাবি করেন অমিত শাহ ৷ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "আমাদের কর্মীদের যারা মেরেছে, আমরা সরকার গড়লে তাদের পাতাল থেকেও খুঁজে বের করব ৷ আমাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চরস গাঁজার মামলা দিচ্ছে ৷ অথচ আদালত ওদের নির্দোষ বলছে ৷ বিজেপিকে ভয় পেয়েছেন মমতাদিদি ও তাঁর ভাইপো ৷"
আরও পড়ুন: