ETV Bharat / opinion

মিথ ভাঙলেন রাধা, দাবাং দিল্লি কবাডি দলের একমাত্র মহিলা কর্ণধার - woman owner of Kabaddi team

International Women's Day 2024: কবাডি যেন পুরুষদের একচ্ছত্র আধিপত্যের জায়গা ৷ এখানে মহিলাদের দাপাদাপিও শুরু হয়েছে ৷ দাবাং দিল্লি কবাডি দলের কর্ণধার রাধা কাপুর ৷ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন মীনাক্ষী রাও ৷

ETV Bharat
পুরুষ কবাডি দলের কর্ণধার রাধা কাপুর
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 8, 2024, 2:24 PM IST

হায়দরাবাদ, 8 মার্চ: কবাডি খেলা মানেই যেন পুরুষ, পেশি এবং শক্তি ৷ সেখানে মহিলাদের অংশগ্রহণ তেমন একটা নজরে পড়ত না ৷ একবিংশ শতকে এসে অবশ্য সেই পরিস্থিতির সামান্য বদল হয়েছে ৷ প্রো কবাডি লিগে পুরুষদের আধিপত্যের মাঝে একজন মাত্র মহিলা, যিনি পুরুষ কবাডি দলের মালিক ৷ তিনি রাধা কাপুর ৷ আজ বিশ্ব নারী দিবসে রাধা কাপুরের সঙ্গে কথা বললেন মীনাক্ষী রাও ৷

রাধা কাপুর এক বিরল, তরুণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মহিলা ৷ তাঁর কবাডি দল দাবাং দিল্লি টিমের পারফরম্যান্স কিন্তু দুর্দান্ত ৷ এই একমাত্র মহিলাদের কবাডি দলে মহিলাদের অংশগ্রহণটাকে খুব সহজভাবেই দেখা হয় ৷ এই প্রসঙ্গে রাধা বলেন, "এটা গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপার ৷ সব শ্রেণি থেকেই এমন তরুণ প্রতিভারা উঠে আসছে যে সেখানে লিঙ্গের তফাতটা ফিকে হয়ে গিয়েছে ৷"

রাধা কাপুরের জীবন কিন্তু শুরু হয়েছিল সম্পূর্ণ অন্য ক্ষেত্রে ৷ তিনি নিউ ইয়র্কে ডিজাইন নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেন ৷ সেখান থেকে একেবারে খেলাধুলোয় ৷ ক্ষমতায়ন এবং প্রতিভা পরিস্ফুটনের প্রতি রাধা কতটা দায়বদ্ধ, বিশেষত মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে, তা প্রমাণ করে তাঁর খেলাধুলোয় যোগ দেওয়ার ঘটনা ৷

2013 সালে মুম্বইয়ে রাধা কাপুরের যাত্রা শুরু ৷ তিনি শিক্ষাজগতে দুর্দান্ত কেরিয়ার গড়ে তোলার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন ৷ এই প্রসঙ্গে রাধা বলেন, "সেটা যেন একটা বাস্তুতন্ত্র ৷ তরুণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী ডিজাইনাররা যেন পড়াশোনার সুযোগ পায়, সেটা তৈরি করার চেষ্টা করছিলাম ৷ এই বিষয়টি তরুণ ডিজাইনারের ক্ষমতায়নের সঙ্গে জড়িত ৷ আবার তরুণ প্রতিভার উন্নতিও ৷ লক্ষ্য একই ৷"

দেশের নিজস্ব খেলাগুলির প্রচার করা এবং তরুণ প্রতিভাদের খুঁজে বের করা ৷ রাধার মনের অনেক গভীরে এই দু'টি কারণ প্রোথিত ছিল ৷ সেই তাড়না থেকেই প্রো কবাডি লিগে পা রেখেছিলেন রাধা কাপুর ৷ আত্মবিশ্বাসী রাধা বলেন, "আমি সবসময় খেলার শক্তিতে বিশ্বাস করে এসেছি ৷ বিশেষত দুঃস্থ, প্রত্যন্ত শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে খেলা অন্যতম শক্তি ৷ কবাডি একেবারে ভারতের নিজস্ব খেলা ৷ আমাদের সমৃদ্ধ ভারতীয় খেলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার একটা প্ল্যাটফর্ম এটা ৷ এই খেলাকে কীভাবে বিশ্বের বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া যায়, যাতে এই খেলা আরও জনপ্রিয় হয় . সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে ৷ বেশ কিছু স্কুল কবাডি খেলাকে ফিরিয়েও আনছে ৷"

ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টন নয়, কবাডিকেই বেছে নিয়েছিলেন রাধা কাপুর ৷ কারণ এই খেলাটি তুলনায় কম প্রচার পায় ৷ এদিকে কবাডিতে যথেষ্ট ভালো একটা কেরিয়ার গড়া যায় ৷ পাশাপাশি বহু প্রতিভা যেখানে মূলধারাJ খেলাগুলিতে হারিয়ে যান, তাঁরাই আবার কবাডিতে ভালো জায়গা করে নিতে পারেন ৷

রাধার কথায়, "আমি নতুন কিছু করতে চেয়েছিলাম, যা অন্যরকম, আলাদা ৷ কবাডি সেই সুযোগটা করে দিয়েছে ৷ এতে শুধু যে খেলার প্রচার করা যাবে, তা নয়, মাটির কাছাকাছি থাকা প্রতিভাগুলিকেও তুলে আনা যাবে ৷ আজ আমাদের দেশে কবাডি যেখানে রয়েছে, সেখান থেকে তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও সমর্থন প্রয়োজন ৷ অনেক কাজ করতে হবে ৷ তবে একটি টিম তৈরি করে এর বাস্তুতন্ত্রটা তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ এবার আমরা কীভাবে প্রতিভাদের সাহায্য করা যায়, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে একটা কেরিয়ার তৈরি করা যায়, তা করতে পারব ৷"

কবাডি লিগে তিনি আর কতজন মহিলাকে খুঁজে পেয়েছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে রাধা কাপুর জানান, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কয়েকজন ছাড়া আর কোথাও কোনও মহিলার দেখা পাননি রাধা ৷ কবাডি দলের মালিক মহিলা নয়, কোনও নিউট্রিশনিস্ট নেই, কোনও ম্যানেজার নেই, এমনকী মহিলা ফিজিওথেরাপিস্টও নেই ৷ তবে তাতে রাধা কাপুরের খুব একটা যে অসুবিধে হয়েছে, তা নয় ৷ তিনি তাঁর লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন ৷

এখন রাধা এমন কিশোরীদের খোঁজ করছেন, যারা খেলাধুলোয় উৎসাহী ৷ তিনি বলেন, "খেলা যেন বছরে একবার ওই তিন মাসের বিষয় না হয়ে যায় ৷ সারাবছর ধরে মহিলাদের টুর্নামেন্ট থাকবে, একেবারে মাটির কাছাকাছি স্তরে ৷ আমাদের লক্ষ্য প্রতিভার একটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান ৷ উচ্চাকাঙ্খী অ্যাথলিটদের জন্য কবাডি যেন একটা দুর্দান্ত কেরিয়ার হয়ে উঠতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে ৷"

এখন তিনি যা করছেন, তার থেকে আরও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে ৷ এই প্রসঙ্গে রাধার কথায়, "একটা হল, দলের প্রয়োজন ৷ বৃহত্তর ক্ষেত্রে তরুণ অ্যাটাকার এবং ডিফেন্ডার প্রয়োজন ৷ মাটির কাছাকাছি থাকা আরও তরুণ প্রতিভাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুঁজে পেতে হবে, যাতে তাদের একটা ভালো কেরিয়ার তৈরি হয় ৷"

ক্রীড়াক্ষেত্র যে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার রসদ জোগাবে, এমনটা নয় ৷ এই জায়গাটা থেকে নজর ঘোরাতে হবে ৷ এই ক্রীড়াজগতে পুরুষের আধিপত্য একটা চ্যালেঞ্জ ৷ সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন রাধা কাপুর ৷ রাধার নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ, সহমর্মিতা, খেলার বিষয়ে জ্ঞান এবং তাঁর দূরদৃষ্টি সব বাধা ভেঙেছে ৷ রাধা কাপুর শ্রদ্ধার একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন ৷

রাধা কিন্তু সব প্রতিভাকেই সমান গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোর দেন ৷ পাশাপাশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে একটা পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে তোলায় বিশ্বাসী ৷ তাঁর নিজস্ব নীরব কিন্তু দৃঢ় পথে ৷ রাধা বলেন, "টিম ম্যানেজমেন্টকে গুরুত্ব দিতে হবে ৷ যার অর্থ অনবরত প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাওয়া আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া ৷"

রাধার কাছে একটা যথাযথ পৃথিবী সেটা, যেখানে প্রত্যেককে সম্মান ও গুরুত্ব দেওয়া হবে ৷ আর দলের প্রত্যেকে যেন তা অনুভব করতে পারে ৷ রাধা বলেন, "এটা শুধুমাত্র খেলার ব্যাপার নয়, ব্যক্তিবিশেষের ক্ষমতায়ন থেকে তাঁর সম্ভাবনাকে পূর্ণতা দেওয়া ৷" রাধার এই যাত্রাপথ অনুপ্রেরণা, লাগাতার পরিশ্রম এবং ক্ষমতায়ন- এই তিন শক্তির রূপান্তরের প্রমাণ ৷ কবাডি প্রচারে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন ৷ খেলাধুলোর মাধ্যমে আরও ব্যাপক এবং একটা ক্ষমতাধারী পৃথিবীকে তৈরি করতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ৷

আরও পড়ুন:

  1. প্রথম খেতাব পল্টনদের, হরিয়ানাকে হারিয়ে প্রো-কবাডির নয়া চ্যাম্পিয়ন পুনে
  2. হ্যাংঝাউয়ে 'ঐতিহাসিক সাফল্য', ফিরে দেখা 2023 এশিয়াডে ভারতের 'ইস বার একশো পারে'র কৃতিত্ব
  3. মহিলা ক্রিকেটে দ্রুততম, 132 কিমি গতিতে বল করে রেকর্ড শাবনিমের

হায়দরাবাদ, 8 মার্চ: কবাডি খেলা মানেই যেন পুরুষ, পেশি এবং শক্তি ৷ সেখানে মহিলাদের অংশগ্রহণ তেমন একটা নজরে পড়ত না ৷ একবিংশ শতকে এসে অবশ্য সেই পরিস্থিতির সামান্য বদল হয়েছে ৷ প্রো কবাডি লিগে পুরুষদের আধিপত্যের মাঝে একজন মাত্র মহিলা, যিনি পুরুষ কবাডি দলের মালিক ৷ তিনি রাধা কাপুর ৷ আজ বিশ্ব নারী দিবসে রাধা কাপুরের সঙ্গে কথা বললেন মীনাক্ষী রাও ৷

রাধা কাপুর এক বিরল, তরুণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মহিলা ৷ তাঁর কবাডি দল দাবাং দিল্লি টিমের পারফরম্যান্স কিন্তু দুর্দান্ত ৷ এই একমাত্র মহিলাদের কবাডি দলে মহিলাদের অংশগ্রহণটাকে খুব সহজভাবেই দেখা হয় ৷ এই প্রসঙ্গে রাধা বলেন, "এটা গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপার ৷ সব শ্রেণি থেকেই এমন তরুণ প্রতিভারা উঠে আসছে যে সেখানে লিঙ্গের তফাতটা ফিকে হয়ে গিয়েছে ৷"

রাধা কাপুরের জীবন কিন্তু শুরু হয়েছিল সম্পূর্ণ অন্য ক্ষেত্রে ৷ তিনি নিউ ইয়র্কে ডিজাইন নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেন ৷ সেখান থেকে একেবারে খেলাধুলোয় ৷ ক্ষমতায়ন এবং প্রতিভা পরিস্ফুটনের প্রতি রাধা কতটা দায়বদ্ধ, বিশেষত মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে, তা প্রমাণ করে তাঁর খেলাধুলোয় যোগ দেওয়ার ঘটনা ৷

2013 সালে মুম্বইয়ে রাধা কাপুরের যাত্রা শুরু ৷ তিনি শিক্ষাজগতে দুর্দান্ত কেরিয়ার গড়ে তোলার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন ৷ এই প্রসঙ্গে রাধা বলেন, "সেটা যেন একটা বাস্তুতন্ত্র ৷ তরুণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী ডিজাইনাররা যেন পড়াশোনার সুযোগ পায়, সেটা তৈরি করার চেষ্টা করছিলাম ৷ এই বিষয়টি তরুণ ডিজাইনারের ক্ষমতায়নের সঙ্গে জড়িত ৷ আবার তরুণ প্রতিভার উন্নতিও ৷ লক্ষ্য একই ৷"

দেশের নিজস্ব খেলাগুলির প্রচার করা এবং তরুণ প্রতিভাদের খুঁজে বের করা ৷ রাধার মনের অনেক গভীরে এই দু'টি কারণ প্রোথিত ছিল ৷ সেই তাড়না থেকেই প্রো কবাডি লিগে পা রেখেছিলেন রাধা কাপুর ৷ আত্মবিশ্বাসী রাধা বলেন, "আমি সবসময় খেলার শক্তিতে বিশ্বাস করে এসেছি ৷ বিশেষত দুঃস্থ, প্রত্যন্ত শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে খেলা অন্যতম শক্তি ৷ কবাডি একেবারে ভারতের নিজস্ব খেলা ৷ আমাদের সমৃদ্ধ ভারতীয় খেলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার একটা প্ল্যাটফর্ম এটা ৷ এই খেলাকে কীভাবে বিশ্বের বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া যায়, যাতে এই খেলা আরও জনপ্রিয় হয় . সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে ৷ বেশ কিছু স্কুল কবাডি খেলাকে ফিরিয়েও আনছে ৷"

ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টন নয়, কবাডিকেই বেছে নিয়েছিলেন রাধা কাপুর ৷ কারণ এই খেলাটি তুলনায় কম প্রচার পায় ৷ এদিকে কবাডিতে যথেষ্ট ভালো একটা কেরিয়ার গড়া যায় ৷ পাশাপাশি বহু প্রতিভা যেখানে মূলধারাJ খেলাগুলিতে হারিয়ে যান, তাঁরাই আবার কবাডিতে ভালো জায়গা করে নিতে পারেন ৷

রাধার কথায়, "আমি নতুন কিছু করতে চেয়েছিলাম, যা অন্যরকম, আলাদা ৷ কবাডি সেই সুযোগটা করে দিয়েছে ৷ এতে শুধু যে খেলার প্রচার করা যাবে, তা নয়, মাটির কাছাকাছি থাকা প্রতিভাগুলিকেও তুলে আনা যাবে ৷ আজ আমাদের দেশে কবাডি যেখানে রয়েছে, সেখান থেকে তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও সমর্থন প্রয়োজন ৷ অনেক কাজ করতে হবে ৷ তবে একটি টিম তৈরি করে এর বাস্তুতন্ত্রটা তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ এবার আমরা কীভাবে প্রতিভাদের সাহায্য করা যায়, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে একটা কেরিয়ার তৈরি করা যায়, তা করতে পারব ৷"

কবাডি লিগে তিনি আর কতজন মহিলাকে খুঁজে পেয়েছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে রাধা কাপুর জানান, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কয়েকজন ছাড়া আর কোথাও কোনও মহিলার দেখা পাননি রাধা ৷ কবাডি দলের মালিক মহিলা নয়, কোনও নিউট্রিশনিস্ট নেই, কোনও ম্যানেজার নেই, এমনকী মহিলা ফিজিওথেরাপিস্টও নেই ৷ তবে তাতে রাধা কাপুরের খুব একটা যে অসুবিধে হয়েছে, তা নয় ৷ তিনি তাঁর লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন ৷

এখন রাধা এমন কিশোরীদের খোঁজ করছেন, যারা খেলাধুলোয় উৎসাহী ৷ তিনি বলেন, "খেলা যেন বছরে একবার ওই তিন মাসের বিষয় না হয়ে যায় ৷ সারাবছর ধরে মহিলাদের টুর্নামেন্ট থাকবে, একেবারে মাটির কাছাকাছি স্তরে ৷ আমাদের লক্ষ্য প্রতিভার একটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান ৷ উচ্চাকাঙ্খী অ্যাথলিটদের জন্য কবাডি যেন একটা দুর্দান্ত কেরিয়ার হয়ে উঠতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে ৷"

এখন তিনি যা করছেন, তার থেকে আরও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে ৷ এই প্রসঙ্গে রাধার কথায়, "একটা হল, দলের প্রয়োজন ৷ বৃহত্তর ক্ষেত্রে তরুণ অ্যাটাকার এবং ডিফেন্ডার প্রয়োজন ৷ মাটির কাছাকাছি থাকা আরও তরুণ প্রতিভাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুঁজে পেতে হবে, যাতে তাদের একটা ভালো কেরিয়ার তৈরি হয় ৷"

ক্রীড়াক্ষেত্র যে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার রসদ জোগাবে, এমনটা নয় ৷ এই জায়গাটা থেকে নজর ঘোরাতে হবে ৷ এই ক্রীড়াজগতে পুরুষের আধিপত্য একটা চ্যালেঞ্জ ৷ সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন রাধা কাপুর ৷ রাধার নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ, সহমর্মিতা, খেলার বিষয়ে জ্ঞান এবং তাঁর দূরদৃষ্টি সব বাধা ভেঙেছে ৷ রাধা কাপুর শ্রদ্ধার একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন ৷

রাধা কিন্তু সব প্রতিভাকেই সমান গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোর দেন ৷ পাশাপাশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে একটা পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে তোলায় বিশ্বাসী ৷ তাঁর নিজস্ব নীরব কিন্তু দৃঢ় পথে ৷ রাধা বলেন, "টিম ম্যানেজমেন্টকে গুরুত্ব দিতে হবে ৷ যার অর্থ অনবরত প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাওয়া আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া ৷"

রাধার কাছে একটা যথাযথ পৃথিবী সেটা, যেখানে প্রত্যেককে সম্মান ও গুরুত্ব দেওয়া হবে ৷ আর দলের প্রত্যেকে যেন তা অনুভব করতে পারে ৷ রাধা বলেন, "এটা শুধুমাত্র খেলার ব্যাপার নয়, ব্যক্তিবিশেষের ক্ষমতায়ন থেকে তাঁর সম্ভাবনাকে পূর্ণতা দেওয়া ৷" রাধার এই যাত্রাপথ অনুপ্রেরণা, লাগাতার পরিশ্রম এবং ক্ষমতায়ন- এই তিন শক্তির রূপান্তরের প্রমাণ ৷ কবাডি প্রচারে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন ৷ খেলাধুলোর মাধ্যমে আরও ব্যাপক এবং একটা ক্ষমতাধারী পৃথিবীকে তৈরি করতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ৷

আরও পড়ুন:

  1. প্রথম খেতাব পল্টনদের, হরিয়ানাকে হারিয়ে প্রো-কবাডির নয়া চ্যাম্পিয়ন পুনে
  2. হ্যাংঝাউয়ে 'ঐতিহাসিক সাফল্য', ফিরে দেখা 2023 এশিয়াডে ভারতের 'ইস বার একশো পারে'র কৃতিত্ব
  3. মহিলা ক্রিকেটে দ্রুততম, 132 কিমি গতিতে বল করে রেকর্ড শাবনিমের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.