ETV Bharat / opinion

কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব ভারতের বাড়তে থাকা আর্থিক ঋণের বোঝা ? - Growing Public Debt of India

Growing Public Debt of India: যতদিন যাচ্ছে, তত ভারতের আর্থিক ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমার বদলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ৷ কীভাবে এই মাত্রাতিরিক্ত বাড়তে থাকা ঋণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ? সেই নিয়েই মতামত পোষণ করলেন, অধ্যাপক মহেন্দ্র বাবু কুরুভা ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 18, 2024, 7:33 PM IST

হায়দরাবাদ: দেশে সাধারণ নির্বাচন ও একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে ৷ নির্বাচনে লড়াই করছে এমন রাজনৈতিক দলগুলি ইস্তাহার প্রকাশ করে, নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ৷ বলা হচ্ছে, তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতা আনলে একাধিক বিনামূল্য পরিষেবা দেওয়া হবে ৷ নানান সামাজিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা চালু করবে ৷

যাই হোক, তারা যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সরকারের কোষাগার থেকে পূরণ করা হয় এবং এটি সংশ্লিষ্ট সরকারের আর্থিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে ৷ অনেক সময়ে সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য অত্যধিক পরিমাণে ঋণ গ্রহণ করে ৷ যার ফলে বিশাল সরকারি ঋণ জমা হয় ৷ যা সরকারি কোষাগার ও করদাতাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেয় ৷ এই প্রেক্ষাপটে দেশের সরকারি ঋণ পরিস্থিতি যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন ৷ কীভাবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরিকল্পনা পরিচালনা করা যায়, সে সম্পর্কে চিন্তা করা প্রাসঙ্গিক ৷

ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি প্রকাশিত পাবলিক লোন ম্যানেজমেন্টের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যে ভারত সরকারের মোট ঋণের দায় 2023 সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে 157.84 লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে 160.69 লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে ৷ এই প্রতিবেদনটিতে 2023 সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়কালের মধ্যে পাবলিক ঋণ এবং নগদ সংক্রান্ত একটি বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এটি ছাড়াও, এটি ঋণ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির উপর বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছে ওই প্রতিবেদন ৷ এই প্রতিবেদনে উদ্বেগ বাড়ানোর মতো বিষয় হল, 2023-24 অর্থবর্ষের ত্রৈমাসিকে দেশের মোট ঋণগুলির 90 শতাংশ সরকার নিজে নিয়েছে ৷

মূলত সরকারি ঋণ বা পাবলিক ঋণ হল রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা উত্থাপিত বকেয়া বিদেশি এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ-সহ অন্যান্য দায় ৷ যার উপর তাদের সুদ ও ধার করা মূল অর্থের পরিমাণ মেটাতে হবে ৷ 'অন্যান্য দায়'-এর মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যৎ তহবিল, ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, ও তেল বিপণন সংস্থাগুলিতে জারি করা বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা ৷

যদিও সরকারের ঋণ নেওয়ার একটা সীমা রয়েছে ৷ 2003 সালে এনডিএ সরকার কর্তৃক লাগু করা ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট (এফআরবিএম) আইন দ্বারা সেই ঋণের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৷ এই আইন অনুযায়ী, 2024-25 সালের মধ্যে সাধারণ সরকারি ঋণ জিডিপির 60 শতাংশে নামিয়ে আনার কথা ছিল ৷ এমনকি কেন্দ্রের নিজস্ব মোট বকেয়া ঋণগুলি সেই সময়সূচির মধ্যে 40 শতাংশের বেশি হবে না ৷ তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেইসব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি ৷ এর একটি প্রধান কারণ হল, 2020 সালে কোভিড-19 মহামারি ৷ যা দেশ তথা বিশ্ব অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ৷

মহামারির জেরে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক ধাক্কা এবং সাপ্লাই ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে, দেশের রাজস্ব কাঠামোর উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ার কারণে রাজস্বের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ৷ এটা থেকে স্পষ্ট যে কেন্দ্রের মোট বকেয়া ঋণ যা 2018-19 সালে জিডিপির 48.1 শতাংশ ছিল, 2019-20 অর্থবর্ষে তা বেড়ে 50.7 শতাংশ হয়েছে ৷ 2020-21 অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে 60.8 শতাংশ ৷ যদিও, পরবর্তী সময়েও এই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধিতে কোনও বদল আসেনি ৷ 2022-23 অর্থবর্ষে 55.9 শতাংশ ও 2023-24 সালে 56.9 শতাংশ হয়েছে ৷ 2024-25 অর্থবর্ষে এই ঋণকে কমিয়ে জিডিপির 56 শতাংশ করার লক্ষ নেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেটে ৷

একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হিসাবে, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পুঁজির প্রয়োজন এবং এর জন্য একটি আর্থিকনীতির লাগু করতে হবে ৷ যা নিশ্চিত করবে যে ঋণের বোঝা প্রতি অর্থবর্ষে কমবে ৷ সুতরাং, দেশের ঋণ পরিচালনার বিষয়ে, যেকোন নীতিগত বক্তব্যে ঋণের দু’টি বিষয়ে ফোকাস করতে হবে ৷ প্রথমটা হল বেসরকারি ঋণ এবং দ্বিতীয়টা হল জনসাধারণের ঋণ ৷ এই প্রেক্ষাপটে এটি উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, 9 এপ্রিল, 2024-এ একটি আর্থিক পরিষেবা সংস্থা মতিলাল ওসওয়ালের প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুমান অনুযায়ী, ভারতের হাউজ হোল্ড ঋণ সর্বকালের সর্বোচ্চ 40 শতাংশ স্পর্শ করেছে ৷ যা জিডিপি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারকদের জন্য সতর্কতামূলক বার্তা ৷

বেসরকারী ঋণ পরিচালনার জন্য, এমন নীতির প্রয়োজন রয়েছে যার লক্ষ্য একটি ক্রমাগত ভিত্তিতে দেশের হাউস হোল্ডের পাশাপাশি অ-আর্থিক কর্পোরেট ঋণের মাত্রার উপর নজরদারি চালাবে ৷ অন্যদিকে, একটি কার্যকর পাবলিক ডেট ম্যানেজমেন্টের জন্য একটি সুপরিকল্পিত ফিসকাল ফ্রেম ওয়ার্ক তৈরি করার কথা বলা হয়েছে ৷ যা ব্যয়ের ভারসাম্য এবং ঋণের স্থায়িত্ব সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট পথ দেখাতে পারবে ৷ এর ফলে জিডিপি অনুপাতের আদর্শ ঋণ পাওয়া যেতে পারে ৷ এটাও বুঝতে হবে যে, সরকারের ঋণের মাত্রা সবসময় দেশের জিডিপির শতাংশ হিসাবে পরিমাপ করা হয় ৷

প্রথম পন্থা হল অতিরিক্ত করের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করে ঋণের বোঝা কমানো ৷ একই সঙ্গে অনুৎপাদনশীল ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটি সীমা বজায় রাখা ৷ আয়কর প্রশাসনে সমান দক্ষতার মাধ্যমে করের পরিমাণ বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানো যেতে পারে ৷

আরও পড়ুন:

  1. ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সবচেয়ে এগিয়ে 140 কোটির দেশ, পড়ুন বিশ্লেষণ
  2. ভারতীয় টাকাকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা করে তোলার উপায় কি? পড়ুন বিস্তারিত বিশ্লেষণ
  3. নতুন না পুরনো, কোন আয়কর ব্যবস্থা আপনার জন্য উপযুক্ত?

হায়দরাবাদ: দেশে সাধারণ নির্বাচন ও একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে ৷ নির্বাচনে লড়াই করছে এমন রাজনৈতিক দলগুলি ইস্তাহার প্রকাশ করে, নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ৷ বলা হচ্ছে, তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতা আনলে একাধিক বিনামূল্য পরিষেবা দেওয়া হবে ৷ নানান সামাজিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা চালু করবে ৷

যাই হোক, তারা যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সরকারের কোষাগার থেকে পূরণ করা হয় এবং এটি সংশ্লিষ্ট সরকারের আর্থিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে ৷ অনেক সময়ে সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য অত্যধিক পরিমাণে ঋণ গ্রহণ করে ৷ যার ফলে বিশাল সরকারি ঋণ জমা হয় ৷ যা সরকারি কোষাগার ও করদাতাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেয় ৷ এই প্রেক্ষাপটে দেশের সরকারি ঋণ পরিস্থিতি যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন ৷ কীভাবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরিকল্পনা পরিচালনা করা যায়, সে সম্পর্কে চিন্তা করা প্রাসঙ্গিক ৷

ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি প্রকাশিত পাবলিক লোন ম্যানেজমেন্টের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যে ভারত সরকারের মোট ঋণের দায় 2023 সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে 157.84 লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে 160.69 লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে ৷ এই প্রতিবেদনটিতে 2023 সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়কালের মধ্যে পাবলিক ঋণ এবং নগদ সংক্রান্ত একটি বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এটি ছাড়াও, এটি ঋণ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির উপর বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছে ওই প্রতিবেদন ৷ এই প্রতিবেদনে উদ্বেগ বাড়ানোর মতো বিষয় হল, 2023-24 অর্থবর্ষের ত্রৈমাসিকে দেশের মোট ঋণগুলির 90 শতাংশ সরকার নিজে নিয়েছে ৷

মূলত সরকারি ঋণ বা পাবলিক ঋণ হল রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা উত্থাপিত বকেয়া বিদেশি এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ-সহ অন্যান্য দায় ৷ যার উপর তাদের সুদ ও ধার করা মূল অর্থের পরিমাণ মেটাতে হবে ৷ 'অন্যান্য দায়'-এর মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যৎ তহবিল, ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, ও তেল বিপণন সংস্থাগুলিতে জারি করা বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা ৷

যদিও সরকারের ঋণ নেওয়ার একটা সীমা রয়েছে ৷ 2003 সালে এনডিএ সরকার কর্তৃক লাগু করা ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট (এফআরবিএম) আইন দ্বারা সেই ঋণের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৷ এই আইন অনুযায়ী, 2024-25 সালের মধ্যে সাধারণ সরকারি ঋণ জিডিপির 60 শতাংশে নামিয়ে আনার কথা ছিল ৷ এমনকি কেন্দ্রের নিজস্ব মোট বকেয়া ঋণগুলি সেই সময়সূচির মধ্যে 40 শতাংশের বেশি হবে না ৷ তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেইসব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি ৷ এর একটি প্রধান কারণ হল, 2020 সালে কোভিড-19 মহামারি ৷ যা দেশ তথা বিশ্ব অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ৷

মহামারির জেরে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক ধাক্কা এবং সাপ্লাই ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে, দেশের রাজস্ব কাঠামোর উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ার কারণে রাজস্বের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ৷ এটা থেকে স্পষ্ট যে কেন্দ্রের মোট বকেয়া ঋণ যা 2018-19 সালে জিডিপির 48.1 শতাংশ ছিল, 2019-20 অর্থবর্ষে তা বেড়ে 50.7 শতাংশ হয়েছে ৷ 2020-21 অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে 60.8 শতাংশ ৷ যদিও, পরবর্তী সময়েও এই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধিতে কোনও বদল আসেনি ৷ 2022-23 অর্থবর্ষে 55.9 শতাংশ ও 2023-24 সালে 56.9 শতাংশ হয়েছে ৷ 2024-25 অর্থবর্ষে এই ঋণকে কমিয়ে জিডিপির 56 শতাংশ করার লক্ষ নেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেটে ৷

একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হিসাবে, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পুঁজির প্রয়োজন এবং এর জন্য একটি আর্থিকনীতির লাগু করতে হবে ৷ যা নিশ্চিত করবে যে ঋণের বোঝা প্রতি অর্থবর্ষে কমবে ৷ সুতরাং, দেশের ঋণ পরিচালনার বিষয়ে, যেকোন নীতিগত বক্তব্যে ঋণের দু’টি বিষয়ে ফোকাস করতে হবে ৷ প্রথমটা হল বেসরকারি ঋণ এবং দ্বিতীয়টা হল জনসাধারণের ঋণ ৷ এই প্রেক্ষাপটে এটি উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, 9 এপ্রিল, 2024-এ একটি আর্থিক পরিষেবা সংস্থা মতিলাল ওসওয়ালের প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুমান অনুযায়ী, ভারতের হাউজ হোল্ড ঋণ সর্বকালের সর্বোচ্চ 40 শতাংশ স্পর্শ করেছে ৷ যা জিডিপি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারকদের জন্য সতর্কতামূলক বার্তা ৷

বেসরকারী ঋণ পরিচালনার জন্য, এমন নীতির প্রয়োজন রয়েছে যার লক্ষ্য একটি ক্রমাগত ভিত্তিতে দেশের হাউস হোল্ডের পাশাপাশি অ-আর্থিক কর্পোরেট ঋণের মাত্রার উপর নজরদারি চালাবে ৷ অন্যদিকে, একটি কার্যকর পাবলিক ডেট ম্যানেজমেন্টের জন্য একটি সুপরিকল্পিত ফিসকাল ফ্রেম ওয়ার্ক তৈরি করার কথা বলা হয়েছে ৷ যা ব্যয়ের ভারসাম্য এবং ঋণের স্থায়িত্ব সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট পথ দেখাতে পারবে ৷ এর ফলে জিডিপি অনুপাতের আদর্শ ঋণ পাওয়া যেতে পারে ৷ এটাও বুঝতে হবে যে, সরকারের ঋণের মাত্রা সবসময় দেশের জিডিপির শতাংশ হিসাবে পরিমাপ করা হয় ৷

প্রথম পন্থা হল অতিরিক্ত করের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করে ঋণের বোঝা কমানো ৷ একই সঙ্গে অনুৎপাদনশীল ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটি সীমা বজায় রাখা ৷ আয়কর প্রশাসনে সমান দক্ষতার মাধ্যমে করের পরিমাণ বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানো যেতে পারে ৷

আরও পড়ুন:

  1. ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সবচেয়ে এগিয়ে 140 কোটির দেশ, পড়ুন বিশ্লেষণ
  2. ভারতীয় টাকাকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা করে তোলার উপায় কি? পড়ুন বিস্তারিত বিশ্লেষণ
  3. নতুন না পুরনো, কোন আয়কর ব্যবস্থা আপনার জন্য উপযুক্ত?
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.