কাঠমান্ডু, 23 অগস্ট: যাত্রী সমেত বাস নদীতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে 17 জনের ৷ শুক্রবার সকালে, নেপালের পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে অন্ততপক্ষে 40 জন যাত্রী ছিলেন ৷ তাঁরা সবাই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ৷ বাসটি পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল ৷ পথে মধ্য নেপালের তানাহুন জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে পড়ে যায় ৷ তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ।
তানাহুন জেলার পুলিশ আধিকারিক ডিএসপি দীপকুমার রায়া বলেন, "বাসের নম্বর প্লেটে UP FT 7623" লেখা ছিল ৷ বাসটি নদীতে পড়ে যায় ৷ সেটি নদীর ধারে পড়ে রয়েছে ৷" এদিকে উত্তরপ্রদেশে ত্রাণকার্যের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক বলেন, "নেপালে যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেই বাসে উত্তরপ্রদেশের কোনও বাসিন্দা ছিলেন কি না, তা খুঁজে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি ৷"
নেপালের সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, উদ্ধারকার্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছে সেনাবাহিনীর এমআই-17 হেলিকপ্টার ৷ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিকিৎসক দলকে নিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ৷ অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ থেকে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছেন ৷ যোগাযোগ রাখছেন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম), জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের রিলিফ কমিশনার ৷
রূপানদেহি জেলার পুলিশের মুখপাত্র ডিএসপি মনোহর ভাট্টা বলেন, "20 অগস্ট বাসটি নেপালে ঢুকেছে রূপানদেহি বেলাহিয়া চেকপয়েন্ট (অর্থাৎ ভারতের গোরখপুর) দিয়ে ৷ বাসটিকে 8দিনের পারমিট দেওয়া ছিল ৷"
গতকাল, 22 অগস্ট দার্জিলিংয়ে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কলকাতার এক পর্যটকের । আহত হয়েছেন তিনজন । এদিন বিকেলে দার্জিলিংয়ের তাকভার চা বাগানের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত পর্যটকের নাম বিমল দে ৷ তাঁর বাড়ি কলকাতায় ৷ পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শুভঙ্কর মণ্ডল, বিশ্বজিৎ পোদ্দার ও চিরঞ্জিত দাস নামে আরও তিন পর্যটক । ওই চারজন পর্যটকদেরকে নিয়ে গাড়িটি বিজনবাড়ির রঙ্গিত হোম স্টে যাচ্ছিল । যাওয়ার সময় তাকভার হাসপাতালের কাছে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ।