স্টকহোম, 14 অক্টোবর: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন পেলেন তিন জন ৷ রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স সোমবার 2024 সালে অর্থনীতিতে নোবেল প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে ৷ এই তিন অর্থনীতিবিদ হলেন তুরস্কের ড্যারন অ্যাসেমোগলু, ব্রিটেনের সাইমন জনসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেমস এ রবিনসন ৷
কোনও দেশের সমৃদ্ধিতিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে গবেষণার জন্য এবারের নোবেল পুরস্কার পেলেন এই অর্থনীতিবিদ । যদিও বর্তমানে এই তিন অর্থনীতিবিদই মার্কিন নাগরিক ৷ রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকেডেমি অফ সায়েন্সেসের নোবেল কমিটি তরফে জানানো হয়, এই তিন অর্থনীতিবিদ একটি দেশের সমৃদ্ধির জন্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ৷
BREAKING NEWS
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 14, 2024
The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the 2024 Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel to Daron Acemoglu, Simon Johnson and James A. Robinson “for studies of how institutions are formed and affect prosperity.”… pic.twitter.com/tuwIIgk393
এই তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণার বিষয় হল, কোনও দেশের সমৃদ্ধিতে বৃদ্ধিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা। সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে তৈরি হয় এবং সামগ্রিক সমৃদ্ধিকে কীভাবে তা প্রভাবিত করে সেটা নিয়েই গবেষণা করেছেন এই তিনজন ৷ নোবেল কমিটির (অর্থনীতি) চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন বলেন, "দুই দেশের মধ্যে আয়ের পার্থক্য কমানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ ৷ এই অসাম্য দূর করতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই দেখিয়েছেন এই তিন অর্থনীতিবিদ ৷
অ্যাসেমোগলু এবং জনসন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে কাজ করেন ৷ আর রবিনসন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। এই তিন অর্থনীতিবিদ, দেশের সমৃদ্ধির পার্থক্যের জন্য একটি ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন ৷ দেখা গিয়েছে, যে উপনিবেশগুলি একসময় সমৃদ্ধ ছিল, সেগুলি এখন দরিদ্র ৷ আর যে উপনিবেশগুলিতে অতীতে দারিদ্র্য ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে।
নোবেল কমিটির (অর্থনীতি) চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন জানিয়েছেন, "দেশগুলি কেন ব্যর্থ বা সফল হয় তার মূল কারণগুলির আরও গভীর ধারণা পাওয়া গিয়েছে এই তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণায় ৷"
এথেন্সের একটি অ্যাকাডেমিতে বক্তৃক্তা দিতে গিয়ে নোবেল পুরস্কারের কথা জানতে পারেন তুরস্কের বংশোদ্ভূত 57 বছর বয়সি অর্থনীতিবিদ অ্যাসেমোগলু ৷ তিনি বলেন, "এই পুরস্কার পেয়ে আমি হতবাক হয়েছি। আমি কখনই এমন কিছু আশা করিনি ৷ এই পুরস্কার মাধ্যমে আমাদের গবেষণা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মূল্য নির্দেশ করে।"
চিনের মতো দেশে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশে কীভাবে এই তত্ত্ব প্রয়োগ করেছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে অ্যাসেমোগলু বলেন যে, "আমার দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণত এই কর্তৃত্ববাদী শাসন নিয়ে ৷ যার বিভিন্ন কারণ রয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদী উদ্ভাবনী প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন সম্ভব ৷" অ্যাসেমোগলু এবং রবিনসনের লেখা বই হোয়াই নেশনস ফেল: দ্য অরিজিনস অফ পাওয়ার, প্রোসপারটি এবং পোভার্টি 2012 সালের বেস্টসেলার হয় ৷ যেখানে যুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, মানুষের দ্বারা সমস্যাই দেশগুলিকে দরিদ্র রাখার জন্য দায়ী।
অর্থনীতির পুরস্কারটি আনুষ্ঠানিকভাবে আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক 1968 সালে 19 শতকের সুইডিশ ব্যবসায়ী এবং রসায়নবিদ নোবেলের স্মারক হিসাবে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিল, যিনি ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন এবং পাঁচটি নোবেল পুরস্কার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।