কাঠমাণ্ডু, 14 জুলাই: রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহে নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল নেপাল। প্রচণ্ডকে প্রাক্তন করে দেশের ব্যাটন এল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির হাতে। এর আগেও তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামালানো অলির ক্ষমতায় ফিরে আসা খানিকটা হলেও প্রত্যাশিত ছিল । রাষ্ট্রপতি রামচরণ পাওদেল রবিবার অলিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন ।
পুষ্প কুমার দহল নেপালের জোট সরকারের প্রধান ছিলেন। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় বামপন্থী দল সিপিএম-ইউএমএল সরকারের উপর থেকে দিনকয়েক আগে সমর্থন তুলে নেয়। এরপরই পড়ে যায় সেদেশের সরকার। তবু শেষ চেষ্টা করেছিলেন প্রচণ্ড। সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করেননি। নেপালের সংবিধান মেনে বেশ কয়েকদিন সময় পেয়েছিলেন। সেই সময়সীমা শেষ হয় শুক্রবার। সেদিন সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি । এরপর রবিরার সমস্ত জল্পনার অবসান করে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরলেন ওলি।
ওলিকে সমর্থন করছে নেপাল কংগ্রেস । এই মুহূর্তে তাঁদের সাংসদ সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি । সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনের শীতাই নিবাসে শপথ নেবেন অলি। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার পড়ার পর থেকেই নতুন সরকার গড়তে তৎপরতা শুরু হয নেপালে। রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান অলি । দেশের সবচেয়ে বড় দলের সমর্থন তাঁর কাছে এ কথাও জানান বামদলের প্রধান।
নেপাল সংসদে বামেদের সাংসদ সংখ্যা 77 আর কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা 88। সবমিলিয়ে 165 জনের সমর্থন রয়েছে সরকারের পক্ষে । এই সমস্ত সাংসদের স্বাক্ষরিত সম্মতি পত্র রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছেন অলি। একটা সময় মনে হচ্ছিল নেপাল কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবাই প্রধানমন্ত্রী হবেন। এর আগেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তবে শেষমেশ অলির হাতেই থাকতে চলেছে নেপালের ব্যাটন ।