নিউ ইয়র্ক, 8 ফেব্রুয়ারি: আত্মঘাতী হয়েছেন পড়ুয়া, জানাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ তিনি পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গবেষণা করছিলেন ৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ছাত্র নিজের মাথায় নিজেই গুলি করেছেন ৷ ওই পড়ুয়ার নাম সমীর কামাথ ৷ তিনি আমেরিকার নাগরিক ৷ গত 5 ফেব্রুয়ারি বিকেল আনুমানিক 5টায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় ইন্ডিয়ানার একটি জঙ্গলের মধ্যে ৷
ওয়ারেন কাউন্টি করোনারের অফিস থেকে বুধবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 6 ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ানার ক্রাওফোর্ডসভিলে সমীরের দেহের ময়নাতদন্ত হয় ৷ এই কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, কামাথের মাথায় গুলির ক্ষত পাওয়া গিয়েছে ৷ কামাথ আত্মহত্যা করেছেন ৷ এখনও টক্সিকোলজি রিপোর্ট আসা বাকি ৷ এই রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশের আগেই কামাথের পরিবারকে তা জানানো হয়েছে ৷
তবে এই তদন্ত এখনও চলছে ৷ ওয়ারেন কাউন্টি করোনারের অফিস, ওয়ারেন কাউন্টি শেরিফের অফিস, পারডিউ ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং অন্য কয়েকটি এজেন্সি সমীর কামাথের মৃত্যুর তদন্তে অংশ নিয়েছে ৷ পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কামাথ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষণা করছিলেন ৷ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান একহার্ড গ্রল ই-মেলে জানান, সমীর কামাথ ম্যাসাচুটেসের আমহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেন ৷ এরপর 2021 সালের গ্রীষ্মে তিনি পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ৷ সমীর কামাথের লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, 2025 সালে কামাথ তাঁর ডক্টোরাল প্রোগ্রামে স্নাতক শেষ করবেন ৷
কামাথের মৃত্যুর আগেও আমেরিকায় ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর খবর মিলেছে ৷ গত মাসেই পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র নীল আচার্যের মৃত্যু হয় ৷ তাঁর বয়স 19 বছর ৷ তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ৷ পরে পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাফায়েত্তে ক্যাম্পাসে তাঁর দেহ পাওয়া যায় ৷ তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নীল আচার্যের দেহের ময়নাতদন্তে কোনও উল্লেখযোগ্য আঘাত পাওয়া যায়নি ৷ তাই কোনও রকম ষড়যন্ত্রের কারণেই যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এমন তথ্য উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ এর আগে জর্জিয়ায় এক ভবঘুরে মাদকাসক্তের হামলায় বিবেক সাইনি নামের এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয় ৷ এছাড়া স্থানীয় সময় মঙ্গলবার শিকাগোয় এক ভারতীয় ছাত্রের উপর হামলায় চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী ৷ তাঁকে নৃশংসভাবে মারধর করা হয় ৷
আরও পড়ুন: