ETV Bharat / international

একাধিক পুরুষের সঙ্গে সহবাস! প্রেমিকাকে পিটিয়ে খুনে হাজতবাস ভারতীয়ের - Indian jailed in Singapore

Indian Origin Imprisonment in Singapore: বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়েছিল এক ভারতীয় ৷ তবে সেই প্রেমিকা তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে ৷ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিকাকে হত্যা করে ওই ব্যক্তি ৷ এই ঘটনায় সিঙ্গাপুরে জেল হল ভারতীয়ের ৷

ETV Bharat
প্রেমিকাকে পিটিয়ে খুন করার দোষে সিঙ্গাপুরে হাজতবাস ভারতীয়ের
author img

By PTI

Published : Apr 23, 2024, 12:13 PM IST

সিঙ্গাপুর, 23 এপ্রিল: প্রেমিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে খুন করেছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি ৷ তাই সোমবার সিঙ্গাপুরের একটি আদালত তাকে 20 বছরের সাজা দিল ৷ ওই ব্যক্তি বিবাহিত ৷ তার পরিচয় এম কৃষ্ণান ৷ 2019 সালের 15 জানুয়ারি ও 16 জানুয়ারি সে তার প্রেমিকা মল্লিকা বেগমকে বেধড়ক মারধর করে ৷ তার ফলে বেঘোরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার ৷

সোমবার দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনায় গত 40 বছর বয়সি কৃষ্ণানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে হাইকোর্ট এবং তাকে 20 বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তবে তার হাজতবাসের সময় ধরা হবে তার গ্রেফতারির সময় থেকে ৷

শুধু প্রেমিকাই নয়, কৃষ্ণান বিভিন্ন সময় কখনও পুলিশ তো কখনও স্ত্রীকেও মারধর করেছে ৷ বিচারপতি এদিন উল্লেখ করেন, 2018 সালে পুলিশ আধিকারিককে হেনস্থা করার ঘটনায় কৃষ্ণান প্রতিজ্ঞা করেছিল, সে নিজেকে শুধরে নেবে ৷ কিন্তু সে তারপরেও স্ত্রী ও প্রেমিকাকে মারধর করেছে ৷ বিচারপতি পর্যবেক্ষণে আরও জানান, কৃষ্ণানের 'ইন্টারমিটেন্ট এক্সপ্লোসিভ ডিসঅর্ডার' আছে ৷ এই অবস্থায় যে কোনও ব্যক্তি ঘন ঘন রেগে যায় এবং তার পরিণতি হয় ভয়ানক ৷ এই ডিসঅর্ডার থাকলেও কৃষ্ণানের এই প্রবল বিক্ষুব্ধ আচরণের জন্য অনেকটাই দায়ী মদের নেশা ৷

কৃষ্ণান বিবাহিত ৷ 2015 সালে কৃষ্ণানের স্ত্রী তাকে ও তার প্রেমিকাকে একসঙ্গে মদ খেতে দেখেন ৷ কৃষ্ণান তার অ্যাপার্টমেন্টের বেডরুমে বসেই প্রেমিকার সঙ্গে নেশা করছিল ৷ তাকে এই অবস্থায় দেখে কৃষ্ণানের স্ত্রী ভেঙে পড়েন এবং কৃষ্ণানকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন ৷ তখন কৃষ্ণান তার স্ত্রীকে ঘুষি মারে ৷ স্বভাবতই এতে ভয় পেয়ে যান স্ত্রী ৷ আরও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটার আশঙ্কা করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন ৷ কৃষ্ণান যেন তাঁর কোনও ক্ষতি করতে না পারে, তাই প্রশাসনের কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার আবেদন জানান ৷ তার সেই আবেদন মঞ্জুর হয় ৷

মল্লিকার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কৃষ্ণানের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল ৷ তবে আদালতের রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষ্ণান মাঝেমধ্যেই তার প্রেমিকাকে মারধর করত ৷ এই প্রবণতা আরও বাড়ে 2019 সালে ৷ স্থানীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী 2018 সালে কৃষ্ণানের হাজতবাস হয় ৷ সে জেলে থাকার সময় মল্লিকা একাধিক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ৷

পরে দু'জনে একসঙ্গে মদ্যপান করার সময় মল্লিকা তার জীবনে একাধিক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা কৃষ্ণানের কাছে বলে ফেলে ৷ এই কথা জানতে পেরে 2019 সালের 15 জানুয়ারি, কৃষ্ণান মল্লিকাকে বেধড়ক মারধর করে ৷ তাকে চড় মারা থেকে শুরু করে পাঁজরে আঘাত, ঊরুতে লাথি মারা- বিভিন্নভাবে মল্লিকাকে আঘাত করে কৃষ্ণান ৷ পরদিন মল্লিকা হাসপাতালে যেতে চান ৷

বহু পুরুষের সঙ্গে মল্লিকার সহবাসের ঘটনায় কৃষ্ণান হতাশ হয়ে যায় ৷ রাগের বশে সে ফের মল্লিকাকে আক্রমণ করে ৷ এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে ৷ এই অবস্থায় মল্লিকা একসময় মাটিতে পড়ে যায় ৷ কৃষ্ণান বুঝতে পারে যে, প্রেমিকার মৃত্যু হয়েছে ৷ সে সঙ্গে সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে খবর দেয় ৷ পরে চিকিৎসকরা ঘোষণা করে মল্লিকা প্রয়াত ৷ 17 জানুয়ারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃষ্ণান ৷

আরও পড়ুন:

  1. পারিবারিক অশান্তি, 3 শিশু-সহ স্ত্রীকে খুন করে পলাতক স্বামী
  2. ডার্ক ওয়েবে মাদক বিক্রি, ভারতীয়কে 5 বছরের কারাদণ্ড মার্কিন আদালতের

সিঙ্গাপুর, 23 এপ্রিল: প্রেমিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে খুন করেছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি ৷ তাই সোমবার সিঙ্গাপুরের একটি আদালত তাকে 20 বছরের সাজা দিল ৷ ওই ব্যক্তি বিবাহিত ৷ তার পরিচয় এম কৃষ্ণান ৷ 2019 সালের 15 জানুয়ারি ও 16 জানুয়ারি সে তার প্রেমিকা মল্লিকা বেগমকে বেধড়ক মারধর করে ৷ তার ফলে বেঘোরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার ৷

সোমবার দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনায় গত 40 বছর বয়সি কৃষ্ণানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে হাইকোর্ট এবং তাকে 20 বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তবে তার হাজতবাসের সময় ধরা হবে তার গ্রেফতারির সময় থেকে ৷

শুধু প্রেমিকাই নয়, কৃষ্ণান বিভিন্ন সময় কখনও পুলিশ তো কখনও স্ত্রীকেও মারধর করেছে ৷ বিচারপতি এদিন উল্লেখ করেন, 2018 সালে পুলিশ আধিকারিককে হেনস্থা করার ঘটনায় কৃষ্ণান প্রতিজ্ঞা করেছিল, সে নিজেকে শুধরে নেবে ৷ কিন্তু সে তারপরেও স্ত্রী ও প্রেমিকাকে মারধর করেছে ৷ বিচারপতি পর্যবেক্ষণে আরও জানান, কৃষ্ণানের 'ইন্টারমিটেন্ট এক্সপ্লোসিভ ডিসঅর্ডার' আছে ৷ এই অবস্থায় যে কোনও ব্যক্তি ঘন ঘন রেগে যায় এবং তার পরিণতি হয় ভয়ানক ৷ এই ডিসঅর্ডার থাকলেও কৃষ্ণানের এই প্রবল বিক্ষুব্ধ আচরণের জন্য অনেকটাই দায়ী মদের নেশা ৷

কৃষ্ণান বিবাহিত ৷ 2015 সালে কৃষ্ণানের স্ত্রী তাকে ও তার প্রেমিকাকে একসঙ্গে মদ খেতে দেখেন ৷ কৃষ্ণান তার অ্যাপার্টমেন্টের বেডরুমে বসেই প্রেমিকার সঙ্গে নেশা করছিল ৷ তাকে এই অবস্থায় দেখে কৃষ্ণানের স্ত্রী ভেঙে পড়েন এবং কৃষ্ণানকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন ৷ তখন কৃষ্ণান তার স্ত্রীকে ঘুষি মারে ৷ স্বভাবতই এতে ভয় পেয়ে যান স্ত্রী ৷ আরও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটার আশঙ্কা করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন ৷ কৃষ্ণান যেন তাঁর কোনও ক্ষতি করতে না পারে, তাই প্রশাসনের কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার আবেদন জানান ৷ তার সেই আবেদন মঞ্জুর হয় ৷

মল্লিকার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কৃষ্ণানের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল ৷ তবে আদালতের রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষ্ণান মাঝেমধ্যেই তার প্রেমিকাকে মারধর করত ৷ এই প্রবণতা আরও বাড়ে 2019 সালে ৷ স্থানীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী 2018 সালে কৃষ্ণানের হাজতবাস হয় ৷ সে জেলে থাকার সময় মল্লিকা একাধিক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ৷

পরে দু'জনে একসঙ্গে মদ্যপান করার সময় মল্লিকা তার জীবনে একাধিক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা কৃষ্ণানের কাছে বলে ফেলে ৷ এই কথা জানতে পেরে 2019 সালের 15 জানুয়ারি, কৃষ্ণান মল্লিকাকে বেধড়ক মারধর করে ৷ তাকে চড় মারা থেকে শুরু করে পাঁজরে আঘাত, ঊরুতে লাথি মারা- বিভিন্নভাবে মল্লিকাকে আঘাত করে কৃষ্ণান ৷ পরদিন মল্লিকা হাসপাতালে যেতে চান ৷

বহু পুরুষের সঙ্গে মল্লিকার সহবাসের ঘটনায় কৃষ্ণান হতাশ হয়ে যায় ৷ রাগের বশে সে ফের মল্লিকাকে আক্রমণ করে ৷ এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে ৷ এই অবস্থায় মল্লিকা একসময় মাটিতে পড়ে যায় ৷ কৃষ্ণান বুঝতে পারে যে, প্রেমিকার মৃত্যু হয়েছে ৷ সে সঙ্গে সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে খবর দেয় ৷ পরে চিকিৎসকরা ঘোষণা করে মল্লিকা প্রয়াত ৷ 17 জানুয়ারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃষ্ণান ৷

আরও পড়ুন:

  1. পারিবারিক অশান্তি, 3 শিশু-সহ স্ত্রীকে খুন করে পলাতক স্বামী
  2. ডার্ক ওয়েবে মাদক বিক্রি, ভারতীয়কে 5 বছরের কারাদণ্ড মার্কিন আদালতের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.