ইসলামাবাদ, 9 এপ্রিল: লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৷ পাকিস্তানের জেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ইমরান খানকে রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা সংশোধনাগারে রাখার ফলে প্রতি মাসে সরকারের 12 লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে ৷
জেল সুপারিনটেনডেন্ট এই সংক্রান্ত হিসেব নিকেশ লাহোর হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন ৷ তাতে জানানো হয়েছে, 71 বছর বয়সি ইমরান খানের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ কারাগারের ভিতরে পৃথক সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করা হয়েছে, যার মূল্য 5 লক্ষ টাকা ৷ জেলের বাকি 7 হাজার বন্দির থেকে একেবারে আলাদা বন্দোবস্ত ৷
পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, একটা রান্নাঘর রয়েছে শুধুমাত্র প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৷ সেখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্টের নজরদারিতে রান্না হচ্ছে ৷ সেই খাবার খান সাহেবকে দেওয়ার আগে তা একজন মেডিক্যাল অফিসার বা ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পরীক্ষা করে দেখেন ৷ ইমরাখান খানের চিকিৎসার জন্য হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের 6 জন চিকিৎসকের একটি দল সংশোধনাগারে সবসময় উপস্থিত রয়েছে ৷ এছাড়া অতিরিক্ত বিশেষ একটি দল নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ৷
তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত ইমরান সাতটি বিশেষ সেলের মধ্যে 2টি নিয়ে রয়েছেন ৷ আর বাকি পাঁচটি নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ তবে এই কক্ষগুলিতে সাধারণত 35 জন কয়েদি থাকে ৷ ইমরান খানের কক্ষটিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ৷ সেখানে প্রবেশ করতে গেলে অনুমতি দরকার ৷ বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীরা ইমরানের ওয়ার্ডে পাহারা দেন ৷
আদিয়ালা সংশোধনাগারে প্রতি 10 জন বন্দিপিছু একজন করে নিরাপত্তাকর্মী থাকেন ৷ সেখানে ইমরান খানের জন্যই শুধুমাত্র 15জন নিরাপত্তকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে 2 জন নিরাপত্তা আধিকারিক এবং তিনজন তাঁর ব্যক্তিগত রক্ষী ৷ এছাড়া জেলের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট এলাকা ইমরান খানের ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তিনি সেখানে হাঁটাহাঁটি করেন, শরীরচর্চা করেন ৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে হাজির করার সময়েও কড়া বন্দোবস্ত থাকে ৷ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় ৷ এই সবকিছু মিলিয়ে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র পাকিস্তানের বন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৷
আরও পড়ুন: