ঢাকা, 9 ডিসেম্বর: বাংলাদেশে পৌঁছে সে দেশের বিদেশসচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অগস্ট থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশে গিয়েছেন মিস্রী ৷ আর ঢাকা পৌঁছে প্রথম দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মুখোমুখি বসলেন মিস্রী-জসিম উদ্দিন।
আধিকারিক সূত্রে খবর, ভারতীয় বায়ুসেনার একটি বিমানে এদিন সকাল 11টায় ঢাকায় পৌঁছন বিক্রম মিস্রী। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের একজন শীর্ষ আধিকারিক তাঁকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাও উপস্থিত ছিলেন। মিস্রী বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমুদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন ৷ দেশের বর্তমান বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর ৷
বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খসড়া সূচি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) যোগ দেওয়ার আগে এদিন সকাল 11টায় দেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিস্রী জসিমুদ্দিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বা প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে মিস্রীর।
হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই মিস্রীর এই বাংলাদেশ সফর। তিনি ঢাকায় হামলা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি বৈঠকে উত্থাপন করবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল ৷
গত অগস্টে ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মুখে হাসিনাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গুরুতর চাপে পড়ে। হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কয়েকদিন পরই শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনুস সে দেশের ক্ষমতায় আসেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে হিন্দুদের উপর হামলা এবং হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের জেরে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। গত কয়েক সপ্তাহে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা ঘটেছে এবং সেইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশে মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।