বস্টন, 12 মে: বিশ্বে প্রথম জীবিত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপিত শুয়োরের কিডনি স্তব্ধ হল ৷ দু'মাস আগে আমেরিকার বস্টনের বছর বাষট্টির বাসিন্দার শরীরে চিকিৎসকরা শুয়োরের কিডনি প্রতিস্থাপন করেছিলেন ৷ বলা হয়েছিল এই ব্যক্তি শুয়োরের কিডনি নিয়ে অন্ততপক্ষে দু'বছর বেঁচে থাকবেন ৷ কিন্তু তেমনটা হল কই ? চিকিৎসাবিজ্ঞান হার মানল ৷ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাসদু'য়েকের মধ্যে 62 বছরের রিচার্ড রিক স্লেম্যানের মৃত্যু হল ৷
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ চারঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্লেম্যানের শরীরে শুয়োরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এরপর দুই সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণ শেষে এপ্রিলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর গতকাল তাঁর মৃত্যু হয় ৷ রিচার্ড রিক স্লেম্যানের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আশা করা হয়েছিল স্লেম্যান দুই বছর বাঁচবেন ৷ কিন্তু এমনটা হল না ৷
বস্টনের ম্যাসাচুসেটসের ওয়েমাউথের বাসিন্দা রিচার্ড স্লেম্যান কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে বছরের পর বছর ধরে টাইপ-2 ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এর আগে রিচার্ড অন্য এক মানবদেহের কিডনি প্রতিস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর ভালো থাকার পর তাঁকে আবার ডায়ালাইসিসে ফিরতে হয়। এরপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। গবেষক কাওয়াই এনিয়ে মাস দু'য়েক আগে বলেছিলেন, এতদিন শুধুমাত্র ব্রেন-ডেথ রোগীর শরীরে শুয়োরের কিডনি প্রতিস্থাপিত করা হচ্ছিল। দু'বার সেই অস্ত্রোপচার হয়। কিডনি মাসদু'য়েক চললেও তারপর রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্তু স্লেম্যানের ক্ষেত্রে জীবিত ও সজ্ঞানে থাকা রোগীর শরীরেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় ৷ সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শেষমেশ ব্যর্থ হল বলা যায় ৷
আরও পড়ুন: