আটলান্টা, 8 ফেব্রুয়ারি: প্রসবের সময় এক শিশুর মাথা ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায় ৷ এই ঘটনাকে খুন হিসেবেই ধরতে হবে ৷ মেডিক্যাল পরীক্ষক এমনটাই জানিয়েছেন বলে মৃত শিশুর মা-বাবার তরফে অ্যাটর্নি বুধবার দাবি করেছেন ৷ ওই দম্পতি জর্জিয়ার বাসিন্দা ৷ গত জুলাইয়ে ঘটনাটি ঘটে৷ তাঁরা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ৷ তবে হাসপাতাল ও চিকিৎসক, এই বিষয়ে গাফিলতির কথা মানতে চাননি ৷
ওই দম্পতির অ্যাটর্নি বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ সেখানে তিনি জানান, ক্লেটন কাউন্টির মেডিক্যাল পরীক্ষকের অফিস শিশুটির মৃত্যুর তাৎক্ষণিক কারণ হিসেবে ঘাড় ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি খুঁজে পেয়েছে ৷ ওই অফিস জানিয়েছেন, কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য়কর্মীর ভুলের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে ৷
মৃত শিশুর বাবা ট্রেভেন ইসাইয়া টেলর সিনিয়র ও মা জেসিকা রস বলেন, ‘‘ড. ট্রেসি সেন্ট জুলিয়ান একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে বিলম্ব করেছিলেন এবং প্রসবের সময় বাচ্চা আটকে গেলে দ্রুত সাহায্য চাইতে ব্যর্থ হন । পরিবর্তে, শিশুর মাথা ও ঘাড়ে অত্যধিক বল প্রয়োগ করে প্রসবের চেষ্টা করে ৷ এর জেরে শিশুটির মৃত্যু হয় ৷
তাঁদের অ্যাটর্নি রোডেরিক এডমন্ড নিজেও একজন চিকিৎসক ৷ তিনি জানান, এমনভাবে জোর করে প্রসব করানোর পরিস্থিতিই ছিল না ৷ অন্যদিকে সেন্ট জুলিয়ানের তরফে অ্যাটর্নিরা জানান যে শিশুর শরীরে আঘাত মৃত্যুর আগে হয়েছিল, এই তথ্য সঠিক নয় ৷
তাঁদের দাবি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভুল না সত্ত্বেও এমন মর্মান্তিক ও বিরল ঘটনা ঘটতে পারে ৷ গত সেপ্টেম্বরে আদালতে তাঁদের তরফে জানানো হয় যে চিকিৎসক ওই শিশুকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করেছিলেন ৷ আর মৃত শিশুর শরীরে থাকা আঘাত লাগে মৃত্যুর পর ৷
জেসিকা রস প্রসবের জন্য ভরতি হয়েছিলেন জর্জিয়ার রিভারডালের সাউদার্ন রিজিওনাল মেডিক্যাল সেন্টারে ৷ তারাও এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে ৷ গত নভেম্বরে আদালতেও সেকথা জানানো হয় হাসপাতালের তরফে ৷ তবে এই নিয়ে পুলিশি তদন্তে প্রসবের সময় ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে ৷ সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে ফের সরব হয়েছেন ‘হতভাগ্য’ দম্পতি ৷
আরও পড়ুন: