অটোয়া, 25 জানুয়ারি: ভারত এবং কানাডার সম্পর্ক নয়া মাত্রা পেল। কানাডার দুটি নির্বাচনকে ভারত প্রভাবিত করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ভারতের পাশাপাশি চিন এবং রাশিয়ার কোনও ভূমিকা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কানাডার ফেডারেল কমিশনকে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল সিটিভি এমনই দাবি করেছে।
তদন্তভার পাওয়ার পর প্রাথমিক কাজও শুরু করে দিয়েছে কমিশন। সরকারের থেকে এই অভিযোগ সম্পর্কিত একাধিক নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই সমস্ত নথি থেকে এই অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য-প্রমাণ মেলে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখেছেন কমিশনের আধিকারিকরা। 2019 এবং 2021 সালের নির্বাচনকেই প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে ওই দুটি নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য নিয়েই আপাতত কাজ চালাচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
ওই দুটি নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। নির্বাচনের প্রচার থেকে ফলাফল-সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি তথ্য কমিশনকে ভাবাতে শুরু করেছে । সে ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে সোমবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব শুরু হবে। কয়েকজন আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলা হবে। তাঁদের সোমবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। মে মাসের তিন তারিখের মধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জানাবে কমিশন। এছাড়া বছর শেষ হওয়ার আগেই তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।
এমনিতেই কানাডায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। সরসরি ভারতকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সংসদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই দাবি করেন তিনি। তাঁর প্রশাসনের একটা বড় অংশ মনে করে, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থ 'র' এই খুনের জন্য দায়ী। স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ মানতে চায়নি ভারত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তা একাধিকবার বলেও দিয়েছে দিল্লি। শুধু তাই নয়, কানাডার ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় কুমার বর্মা একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, বিচার না-করেই ভারতকে অপরাধী বলে ঘোষণা করে দিয়েছে কানাডা। এবার আরও একবার ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল।
আরও পড়ুন: