কলকাতা: হেপাটাইটিস হল লিভারের সংক্রমণ যার ফলে আমাদের শরীরে বহু সমস্য়া হতে পারে ৷ হেপাটাইটিস-কে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়, হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই । সময় মতো সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে হেপাটাইটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ধীরে ধীরে লিভার দুর্বল হয়ে যায় এবং একটা সময়ের পর যকৃত বা লিভার কাজ করা বন্ধ করে দেয় ৷ প্রতি বছর 28 জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন করা হয় এই স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ৷ কারণ, সচেতনতার অভাব বহু হেপাটাইটিস আক্রান্ত মানুষকে অকালমৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে ৷
কেন পালিত হয় হেপাটাইটিস দিবস (Why is Hepatitis Day celebrated)?
ডঃ বারুচ স্যামুয়েল ব্লুমবার্গ প্রথম হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আবিষ্কার করেন । শুধু তাই নয়, তিনি প্রথম হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন তৈরি করেন যার জন্য তিনি নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত হন । 28 জুলাই এই মহান ব্যক্তিত্বের জন্মদিন আর তাই প্রতি বছর ব্লুমবার্গের অবদানকে স্মরণ করার জন্যই এই দিনে পালন করা হয় বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ।
হেপাটাইটিস কেন হয় ?
বিভিন্ন ধরণের হেপাটাইটিস রয়েছে, যার কারণে আপনার নানা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে ৷ ভাইরাল হেপাটাইটিস সবচেয়ে সাধারণ প্রকার । হেপাটাইটিস ভাইরাস এ, বি, সি, ডি এবং ই সবচেয়ে সাধারণ । এনআইএইচের দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, ভাইরাল হেপাটাইটিস হল একটি প্রদাহজনক যকৃতের সংক্রমণ যা কোনও পরিচিত হেপাটাইটিস ভাইরাস-এ, বি, সি, ডি, বা ই-এর প্রভাবে ঘটে । বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হেপাটাইটিস সংক্রমণের বেশিরভাগই হেপাটাইটিস বি এবং সি থেকে হয়ে থাকে ৷
এছাড়াও, অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস বেশি অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে হয় ৷
কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক, ওষুধ বা পরিপূরক থেকেও হেপাটাইটিসের সংক্রমণ হতে পারে ৷
অটোইমিউন হেপাটাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ যেখানে আপনার শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা লিভারকে দুর্বল করে ।
হেপাটাইটিস-এর সাধারণ লক্ষণ: পেটে ব্যথা, ঘন ঘন বদহজম এবং ডায়রিয়া, জন্ডিস, ত্বক, নখ ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব এবং বমি, খিদে কমে যাওয়া এবং ক্রমাগত ওজন হ্রাস, জ্বর, শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রম ছাড়াই ক্লান্তি অনুভব করা, গাঢ়-হলুদ রঙের প্রস্রাব, জয়েন্টে ব্যথা ৷
https://www.niaid.nih.gov/news-events/hepatitis-b-and-c-niaid-research-accelerate-elimination
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷