কলকাতা, 14 এপ্রিল: নববর্ষের হিল্লোলস্রোতে ভাসছে বাংলা ৷ নয়া বছরে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে বাঙালির । কিন্তু সেই আনন্দ উৎসবের মাঝেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা । অনবরত নাক দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল, সঙ্গে রয়েছে হাঁচি-কাশি । কারও আবার হালকা জ্বর । যা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা ৷ কেন ?
চিনের ন্যাশনাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখনও চিনে 32 হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে হুপিং কাশিতে । যা গত বছরের তুলনায় প্রায় 20 গুন বেশি । এতে প্রায় 13 জনের মৃত্যু হয়েছে । এমনকি শুধু চিন নয়, ফিলিপিন্সেও হুপিং কাশি ছড়িয়ে গিয়েছে । সেখানেও গত বছরের তুলনায় 34 গুণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে ৷ গত তিন মাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 54 । ফলে করোনার মতোই চিন্তা বাড়াচ্ছে হুপিং কাশিও ।
হুপিং কাশিতে কী বলছেন চিকিৎসকরা (Doctors on Whooping Cough) ?
বেসরকারি হাসপাতালের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবরাজ যশের সঙ্গে কথা বলে ইটিভি ভারত । তিনি জানান, এই রোগের লক্ষণ হল নাক দিয়ে অনবরত জল পড়া, কাশির সময় সাই সাই আওয়াজ ৷ তার সঙ্গে জ্বর আসতে পারে । সাধারণ ভাইরাল ফিভারে যা যা লক্ষণ দেখা যায় এইসবই হুপিং কাশির লক্ষণ । যত ছোট বাচ্চা হবে তাদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে ।
তবে সারা বিশ্ব ছড়িয়ে গেলেও ভারতের পক্ষে খুব একটা সমস্যা হবে না এই রোগ জয় করতে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা । তিনি বলেন, "এই আউটব্রেক হলেও আমাদের সমস্যা হবে না । তার কারণ আমাদের ডিপিটি ভ্যাকসিন সকলেরই নেওয়া । সেই ভ্যাকসিনের মধ্যেই থাকে হুপিং কাশির ভ্যাকসিন । ফলে সাংঘাতিক কিছু একটা হয়ে যাবে সেটা নয় । কিন্তু এর জন্য সচেতনতার অভাব হবে তা নয় ।"
চিকিৎসক জানান, পুরনো অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে হবে । করোনার সময় আমরা মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করতাম ৷ সেটাই আমাদের ফেরে মেনে চলতে হবে । জ্বর হলে বাচ্চাদের স্কুলে না-পাঠানোই উচিত ।
তবে বর্তমানে সকলের মধ্যেই ভাইরাল ফিভার দেখা যাচ্ছে । যার কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন । তবে হুপিং কাশি নাকি ভাইরাল ফিভার, কোনটায় আক্রান্ত আপনি ? সেই পার্থক্যটা করার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানান তিনি । তিনি বলেন, "হুপিং কাশির পাশাপাশি নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় সমস্যা রয়েছে । তাই নিজের বোঝার দরকার নেই । এই ধরণের সমস্যা দেখা গেলে অবশ্যই নিকটবর্তী চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন ।"
আরও পড়ুন: