আমাদের শরীর একটি যন্ত্রের মতো যা অবিরাম কাজ করে । এরজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত শক্তির ৷ যা আমরা খাদ্য থেকে পাই । আমাদের শরীরে খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াকে মেটাবলিজম বলে । এই প্রক্রিয়াটি আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গগুলিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে ।
শীতের মরশুমে, যখন আমরা কম সক্রিয় থাকি এবং বাড়ির ভিতরে বেশি সময় কাটাই, তখন আমাদের বিপাক ক্রিয়া কমে যায় । এটি ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে ৷ তবে চিন্তা করার কারণ নেই ৷ ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিক কিছু সহজ পদ্ধতির কথা জানান যা বিপাক বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে ও শরীরকে সুস্থ রাখে ৷
হালকা গরম জল দিয়ে দিন শুরু করুন: লেবু ও মধু মিশিয়ে হালকা গরম জল পান করলে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং মেটাবলিজম ত্বরান্বিত হয় । এটি সারাদিন শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে । লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে ৷ অন্যদিকে মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে ।
ডায়েটে স্বাস্থ্যকর ভারী ব্রেকফাস্ট রাখতে হবে: ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট ৷ যেমন- পোরিজ, ডিম বা মুগ ডাল চিলা এগুলি বিপাক প্রক্রিয়া সক্রিয় করে । প্রোটিন পেশী তৈরি এবং মেরামত করতে সাহায্য করে ৷ ফলে এটি শরীরকেও শক্তি যোগাতে সাহায্য় করে ৷
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা প্রয়োজন: শীতকালেও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি । হালকা গরম জল খেলে হজমশক্তি ভালো হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে । পর্যাপ্ত জল পান করলে মেটাবলিজম মসৃণভাবে চলতে থাকে ।
গ্রিন টি এবং ভেষজ পানীয় পান করুন: গ্রিন টি-তে উপস্থিত ক্যাটেচিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে । এছাড়া আদা বা দারুচিনি চা হজমশক্তির উন্নতি এবং শরীর গরম রাখতেও সহায়ক ।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: এমনকি শীতকালেও নিয়মিত যোগব্যায়াম, জগিং বা হালকা ব্যায়াম করলে ক্যালোরি বার্ন হয় এবং মেটাবলিজম দ্রুত থাকে । ব্যায়াম করলে শরীরে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয় যা মানসিক চাপ কমায় এবং মনকে শান্ত করে ।
এছাড়াও স্ট্রেস মেটাবলিজমকে ধীর করে দিতে পারে । মেডিটেশন, যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়ামের মতো জিনিসগুলির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায় । এটি বিপাককে ত্বরান্বিত করে এবং আপনি আরও শক্তিশালী বোধ করেন ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)