কলকাতা: শরীর কোনও রোগের কবলে পড়লে বিভিন্ন অঙ্গে এর লক্ষণ দেখা দিতে থাকে । একইভাবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন উপসর্গ ও লক্ষণ দেখা দিতে থাকে ।
প্রত্যেকের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে । খারাপ কোলেস্টেরল (নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন) কে এলডিএল এবং ভালো কোলেস্টেরল (উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন) কে এইচডিএল বলা হয় । কিন্তু পরিবর্তিত জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকের শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন এরফলে হৃদরোগ এবং ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে ।
আমাদের শরীরে উচ্চ মাত্রার এলডিএলের কারণে পায়ের নখ ভেঙে যেতে পারে । এটি খারাপ কোলেস্টেরলের একটা বড় কারণ হতে পারে ৷ এছাড়াও পায়ের নখ ফ্যাকাশে হলুদ হয়ে যায় । এরফলে রক্ত চলাচলেরও সমস্যা হতে পারে ।
2014 সালে 'জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি' (Journal of the American Academy of Dermatology)-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, যাদের শরীরে উচ্চ মাত্রার এলডিএল রয়েছে তাদের নখ হলুদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । এই গবেষণায় আমেরিকার নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মার্ক এস. লিওনি যুক্ত ছিলেন ।
কীভাবে উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে পারবেন ?
বিশেষজ্ঞরা শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কিছু উপায়ের পরামর্শ দেন ।
ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন ।
এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এমন চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন ।
প্রতিদিন শরীর ঘামানোর জন্য দৌড়ানো, হাঁটা, সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম করুন ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় ।
ধূমপান এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় । তাই এই অভ্যাস কম করতে হবে ।
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগও শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে । তাই বিশেষজ্ঞরা মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন যোগব্যায়াম এবং ধ্যান অনুশীলন করার পরামর্শ দেন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷