কলকাতা, 8 এপ্রিল: আসছে বাঙালির নববর্ষ। আর নববর্ষ মানেই নতুন জামাকাপড়, পঞ্চব্যঞ্জন খাওয়াদাওয়া, কারও কারও ক্ষেত্রে নতুন কাজের শুরুয়াতও। বাঙালির জীবনে এ এক চেনা ছক। ঠিক যেমন বাংলার টলিক্যুইন ঋতুপর্ণা দাশগুপ্ত নিয়ে এলেন নিজের একটি পোশাক এবং গয়নার ব্র্যান্ড। বাঙালির জীবনে এদিনে হালখাতা এক বড় নস্ট্যালজিয়া। তবে, আজ আর দোকানে দোকানে সেই বিপুল ভিড় নজরে পড়ে না। তবে, এই বিশেষ দিনটিকে ঘিরে বাঙালির আবেগ চিরকালের। তা সে সাধারণ মানুষ হোক বা জীবনে খ্যাতি যশ পাওয়া কোনও স্বনামধন্য ব্যক্তির। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, চৈতী ঘোষাল, সোহম চক্রবর্তীর কাছ থেকে তাঁদের নববর্ষের নস্ট্যালজিয়া এবং আজকের নববর্ষের রুটিন জেনে নিল ইটিভি ভারত।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, "এ বছর কলকাতাতেই থাকব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। অনেকেই অসুস্থ বাড়িতে। তার উপরে আমার নতুন ছবি 'ম্যাডাম সেনগুপ্ত'র শুটিং হবে কলকাতাতেই। মুহরত হয়ে গিয়েছে। এই গরমে নববর্ষের দিন হোক বা অন্য দিন শুধু সুতির জামাকাপড়ই আমি বেছে নিই।"
সোহম চক্রবর্তী বলেন, "আগে পাড়ার মোড়ে বন্ধুদের সঙ্গে মিষ্টির প্যাকেট ভাগাভাগি করে খাওয়া, কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়া ছিল এক রকমের পয়লা বৈশাখ। এখন আরেক রকমের পয়লা বৈশাখ। এখন সময়টা তো অবশ্যই পালটেছে। তবে, আবেগটা একই আছে। এখন সম্মানটা একটু বেড়েছে। চেষ্টা করি সেটা আরও বাড়িয়ে তোলার।" এই গরমে কেমন পোশাক পরতে পছন্দ করেন সোহম? উত্তরে বলেন, "একদম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরতে পছন্দ করি।"
চৈতী ঘোষাল বলেন, "মায়ের সঙ্গে নববর্ষের আগে গড়িয়াহাটে যেতাম। মা শাড়ি কিনতেন। পয়লা বৈশাখে নতুন পোশাক, হালখাতা সবই স্মৃতিতে। এরপর যখন সিনেমা শুরু করলাম তখন বহু ছবির মুহরত হত। অন্যদের মুহরতে যেতাম। এভাবেই কাটত নববর্ষ। আর এবার পয়লা বৈশাখের আগেই 10 এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে আমার ছেলে অমর্ত্য অভিনীত 'ময়দান'। এই জন্য এবারের পয়লা বৈশাখ আমার কাছে খুব স্পেশাল।" চৈতী ঘোষাল এই গরমে নিজের ফ্যাশন ফান্ডা নিয়ে বলেন, "সাদা এবং কালো আমার সবসময়ের পছন্দের তালিকায় আছে। সুতি, লিনেন আমার ভরসা। সিল্ক সিফন আমি পরি না। আমার মনে হয় গরমে সেটাই পরা উচিত।"
আরও পড়ুন: