হায়দরাবাদ: শীতের ঋতু শুরু হয় সবুজ শাকসবজি দিয়ে ৷ এতে পাওয়া যায় নানা ধরনের শাক আমাদের সারা বছরের জন্য শক্তি জোগায় । যদিও প্রতিটি মরশুমে উপযুক্ত পরিবেশে এগুলি চাষ করা যায় এবং মানুষ অনেক জায়গায় চাষও করে ৷ তবে সঠিক মৌসুমে খাওয়া সবজির স্বাদ আলাদা। এই স্বাদ পাওয়া যায় এই মৌসুমে সবুজ শাক-সবজি থেকে। এমতাবস্থায় এগুলো মিস করা মানে স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে স্বাদ হারিয়ে ফেলা । অতএব, আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এগুলিকে একটি পৃথক খাবার তৈরি করুন এবং আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন (Include in your diet) ।
এই সবজি থেকে আমরা অনেক উপকার পাই ৷ জেনে নিন, কোন শাকগুলি আমাদের জন্য উপকারী ।
পালং শাক: আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পালং শাক আমাদের চুল ও হাড়কে ভেতর থেকে মজবুত করে । শুধু তাই নয়, এটি ব্লাড সুগারও ঠিক রাখে । এটি খেলে ক্যানসারের মতো রোগও এড়ানো যায় ।
বাথুয়া শাক: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বাথুয়া সবুজ আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে । এই মরশুমে প্রতিদিন এটি খেলে পাথরের সমস্যা হয় না । জিঙ্ক, ফসফরাস, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ বাথুয়া সবুজ আমাদের জন্য প্রকৃতির বর । সাধারণভাবে বা দই দিয়ে রাইতা বানিয়ে খাওয়া যায় । এতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে । এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে ।
মেথি শাক: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মেথির শাক অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে । এদের ছোট গোল পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী । এর পুরি, রুটি বা সবজি, সবই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ।
কচুর শাক: ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ কচুর শাক আমাদের চোখকে রক্ষা করার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার অবক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক । এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ৷ যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের জন্য উপকারী । উত্তর ভারতে পকোড়া স্টিমিং করে তৈরি করা হয়, যা খুবই সুস্বাদু ।
কলমি শাক: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কলমি শাক অনেক খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ ৷ যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । এছাড়াও এতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন এবং আয়রন ৷ যা শরীরে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে এবং চোখের জন্যও স্বাস্থ্যকর । এটি একটি কম ক্যালোরির সবুজ শাক, যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)