কলকাতা: মলদ্বারে যন্ত্রণা, মলদ্বার ফুলে ওঠা, জ্বালা করা ইত্যাদির কারণে চুলকানি আসলে একটি সাধারণ সমস্যা যার জন্য মলদ্বারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবকে মূলত দায়ী করা হয়, যা অনেকাংশেই সত্যি । কিন্তু পরিচ্ছন্নতার অভাব ছাড়াও আরও কিছু কারণ থাকতে পারে যা মলদ্বারে চুলকানির কারণ হতে পারে । ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার অভ্যাস ইত্যাদি কারণে এই সসম্যা শরীরে বাড়তে থাকে ।
কারণ: মধ্যপ্রদেশের চিকিৎসক ডাঃ রাজেশ শর্মা বলেন, "অনেকে বিভিন্ন কারণে মলদ্বারে বা পায়ুপথে চুলকানি অনুভব করে । সঠিক পরিচ্ছন্নতার অভাব এরজন্য দায়ী হতে পারে ৷ কিন্তু, তাছাড়া অনেক সময় কোনও রোগের প্রভাব, সংক্রমণ, ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়া বা আরও কিছু কারণেও এই সমস্যা হতে পারে ।"
মলদ্বারে চুলকানির কিছু সাধারণ কারণ নিম্নরূপ:
পরিচ্ছন্নতার অভাব: সঠিক পরিচ্ছন্নতার অভাব মলদ্বারে চুলকানির একটি প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় । আসলে মলত্যাগের পর এর আশেপাশের জায়গা সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে ওই স্থানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে, যার কারণে চুলকানি হয় ।
অনুপযুক্ত খাদ্য: মশলাদার, তৈলাক্ত এবং টক খাবারের অত্যধিক ব্যবহার মলদ্বারে জ্বালা এবং চুলকানির কারণ হতে পারে । এছাড়া অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল সেবনও এই সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে ।
ত্বকের সমস্যা: একজিমা, সোরিয়াসিস এবং অন্যান্য চর্মরোগের কারণে মলদ্বারে চুলকানি হতে পারে । এই অবস্থায় ত্বকে ফোলাভাব, লালভাব ও চুলকানি হয় ।
সংক্রমণ: কখনও কখনও ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের মতো পরজীবী সংক্রমণও মলদ্বারের চুলকানির কারণ হতে পারে । বিশেষ করে, শিশুদের ক্ষেত্রে পিনওয়ার্ম ইনফেকশন বা কৃমির কারণে এই সমস্যা বেশি দেখা যায় ।
চিকিৎসা অবস্থা: কখনও কখনও পাইলস, ফিস্টুলা এবং অন্যান্য পায়ূ পথের সমস্যাও চুলকানির কারণ হতে পারে । এই পরিস্থিতিতে মলদ্বার এলাকায় ফোলাভাব ও জ্বালাও হতে পারে ।
অ্যালার্জি: সাবান বা অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের অ্যালার্জি থেকেও পায়ুপথে চুলকানি হতে পারে ।
আর্দ্রতা: পায়ু অঞ্চলে আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি করে ৷ যা চুলকানির কারণ হয় । অনেক সময় সিন্থেটিক আন্ডারওয়্যার বা দীর্ঘসময় ধরে টাইট জামাকাপড় পরার কারণে বা অতিরিক্ত ঘামের কারণে এই সমস্যা হতে পারে এবং কখনও কখনও ভেজা বা অতিরিক্ত আর্দ্র অন্তর্বাস পরার কারণেও এই সমস্যা হতে পারে ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য নির্দিষ্ট গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এবং এর মতামত ও ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷