হায়দরাবাদ: এখনও অনেকেই কারিপাতা পছন্দ করেন না ৷ তরকারি বা স্যুপে রাখলেও খাওয়ার সময় তা তুলে ফেলে দেওয়া হয় । কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর । প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কারিপাতা রাখলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ৷ জেনে নিন, এর উপকারী দিকগুলি ৷
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়: বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে এক মুঠো কারিপাতা চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি ভালো হয় । বলা হয়ে থাকে যে এর পুষ্টিগুণ সঠিক হজমের জন্য খুবই সহায়ক । 2013 সালে 'জার্নাল অফ এথনোফার্মাকোলজি'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, গবেষকরা দেখেছেন যে কারিপাতার রস হজমের উৎপাদন বাড়ায় এবং হজমের উন্নতিতে সহায়তা করে । অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা ইউনিভার্সিটির ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দাবি করেন যে প্রতিদিন কারিপাতা খেলে হজমশক্তি ভালো হয় ।
ওজন কমানো: কারিপাতা ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ । এছাড়াও এই পাতাগুলি কার্বাজোল অ্যালকালয়েড সমৃদ্ধ । যা ওজন কমাতে খুবই সহায়ক । তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যারা ওজন কমাতে চান তাদের ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রতিদিন এক মুঠো কারিপাতা খাওয়া উচিত ।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কারিপাতা খেয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ।
এই পাতা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ । এগুলি নিয়মিত খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো হবে ।
কারিপাতার গন্ধ নিঃশ্বাস নিলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মতো সমস্যা কমে ।
এই পাতায় উপস্থিত কার্বাজোল অ্যালকালয়েড ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কমাতে কার্যকর । বিশেষজ্ঞদের মতে এই যৌগগুলি অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান হিসাবে কাজ করে ।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে যারা চুল পড়া এবং পাকা চুলের সমস্যায় ভুগছেন তারা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কারিপাতা অন্তর্ভুক্ত করলে ভালো ফল পাবেন ।
প্রতিদিন কারিপাতা খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় । বিশেষজ্ঞদের মতে এটি আলঝেইমারের মতো রোগও প্রতিরোধ করে ।
এর মধ্যে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ড, ফুসফুস এবং কিডনিকে ঠিক রাখতে সাহায্য় করে ।
প্রতিদিন কারিপাতা খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে । এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে ।
কারিপাতা মহিলাদের মাসিকের সমস্যা, ডায়েরিয়া, গনোরিয়া এবং গলা ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে । এছাড়াও এই পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় মজবুত ও সুস্থ থাকে ।