ETV Bharat / health

কাশির সমস্যা এড়াতে এই ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারেন, পরামর্শ চিকিৎসকের - how to reduce cough naturally - HOW TO REDUCE COUGH NATURALLY

Cough problem: বর্ষাকালে জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা সাধারণ ৷ তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটি গুরুতর হতে পারে ৷ কাশির সমস্যা এড়াতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন ৷

Cough problem News
কাশির সমস্যার সমাধান (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 5, 2024, 1:39 PM IST

কলকাতা: বর্ষায় ঘন ঘন শরীর খারাপ লেগেই থাকে ৷ স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ঠান্ডা জ্বর সাধারণ বিষয় ৷ তেমন পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় শুকনো কাশিও । কথা বলতে গেলেই গলা সুড়সুড় করে । রাতে কাশি আরও বেড়ে যায় । কাশির দাপট কমাতে কেউ গরম জলে গার্গেল করেন, আবার অনেকে সিরাপ খান । তাতে কাশি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব ও এনার্জি থাকে না । যার প্রভাব পড়ে কাজের উপর । তাই ওষুধের পাশাপাশি ভরসা করা যেতে পারে ঘরোয়া কিছু টোটকার উপরে ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এক বা দুই দিনের জন্য কাশি থাকে তবে এটিকে জ্বর, ফ্লু বা সংক্রমণ হিসাবে ভাবার পরামর্শ দেওয়া হয় । এক সপ্তাহ কেটে গেলে ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে ৷

গ্লেনিগেলস অ্যাওয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক পালমোনোলজিস্ট ডাঃ তাপস্বী কৃষ্ণ বলেন, "কাশি অনেক কারণে হয় । এটি মূলত ফুসফুসের সমস্যা এবং অ্যাসিডিটি বৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে । এছাড়া হাঁপানি, টিবি, নিউমোনিয়া এবং আইএলটি-এ আক্রান্তদেরও প্রচুর কাশি হয় । এগুলি ছাড়াও এটি সাধারণ মানুষের মধ্যেও হয় । গলার ইনফেকশন এবং সাইনোসাইটিসের সমস্যাতেও কাশি হতে পারে ৷ দুই সপ্তাহ ধরে কাশির সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করা উচিত ৷"

এছাড়াও জানান, স্নায়ুতন্ত্রও শ্বাসযন্ত্রকে ক্ষতি করে কাশি সৃষ্টি করে । সংক্রমণ, অ্যালার্জি, ঠান্ডা হাওয়া বাতাস, ধুলোবালি ইত্যাদির কারণে কাশি হতে পারে ৷ তবে যদি ঠান্ডা জ্বর থেকে কাশির পরিমাণ বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করা ভালো ৷ উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাগুলির জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলি কখনও কখনও কাশিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে । শিশুদের মধ্যে কাশি সাধারণ । তাদের মধু দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে ।

তিনি বলেন, "খাওয়ার আগে গরম জলে নুন দিয়ে গার্গেল করলে ভালো । অ্যান্টি-বায়োটিক ব্যবহারের পাশাপাশি বেটাডিন দিয়ে গার্গেল করুন । হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করা উচিত । অ্যাসিডিটি বেশি হলে কাশিও হয় । সাইনোসাইটিস থেকে কাশির সমস্যা হলে একটু হলুদ মেশালে ভালো ফল পাওয়া যায় ৷

কাশি কমানোর ঘরোয়া টিপস:

মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয় ৷ হাঁপানি বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পণ্য এবং খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ করা উচিত নয় ৷ ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন ৷

ধূমপান বন্ধ করা প্রয়োজন ৷ রাতে মাথা উঁচু করে ঘুমাতে যান ৷ ঘুমানোর আগে মধু খেতে পারেন ৷

শ্বাসকষ্ট হলে, তিন দিনের বেশি জ্বর হলে, নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে । যদি এক সপ্তাহের পরেও কাশি না কমে তবে আপনাকে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)

কলকাতা: বর্ষায় ঘন ঘন শরীর খারাপ লেগেই থাকে ৷ স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ঠান্ডা জ্বর সাধারণ বিষয় ৷ তেমন পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় শুকনো কাশিও । কথা বলতে গেলেই গলা সুড়সুড় করে । রাতে কাশি আরও বেড়ে যায় । কাশির দাপট কমাতে কেউ গরম জলে গার্গেল করেন, আবার অনেকে সিরাপ খান । তাতে কাশি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব ও এনার্জি থাকে না । যার প্রভাব পড়ে কাজের উপর । তাই ওষুধের পাশাপাশি ভরসা করা যেতে পারে ঘরোয়া কিছু টোটকার উপরে ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এক বা দুই দিনের জন্য কাশি থাকে তবে এটিকে জ্বর, ফ্লু বা সংক্রমণ হিসাবে ভাবার পরামর্শ দেওয়া হয় । এক সপ্তাহ কেটে গেলে ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে ৷

গ্লেনিগেলস অ্যাওয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক পালমোনোলজিস্ট ডাঃ তাপস্বী কৃষ্ণ বলেন, "কাশি অনেক কারণে হয় । এটি মূলত ফুসফুসের সমস্যা এবং অ্যাসিডিটি বৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে । এছাড়া হাঁপানি, টিবি, নিউমোনিয়া এবং আইএলটি-এ আক্রান্তদেরও প্রচুর কাশি হয় । এগুলি ছাড়াও এটি সাধারণ মানুষের মধ্যেও হয় । গলার ইনফেকশন এবং সাইনোসাইটিসের সমস্যাতেও কাশি হতে পারে ৷ দুই সপ্তাহ ধরে কাশির সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করা উচিত ৷"

এছাড়াও জানান, স্নায়ুতন্ত্রও শ্বাসযন্ত্রকে ক্ষতি করে কাশি সৃষ্টি করে । সংক্রমণ, অ্যালার্জি, ঠান্ডা হাওয়া বাতাস, ধুলোবালি ইত্যাদির কারণে কাশি হতে পারে ৷ তবে যদি ঠান্ডা জ্বর থেকে কাশির পরিমাণ বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করা ভালো ৷ উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাগুলির জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলি কখনও কখনও কাশিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে । শিশুদের মধ্যে কাশি সাধারণ । তাদের মধু দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে ।

তিনি বলেন, "খাওয়ার আগে গরম জলে নুন দিয়ে গার্গেল করলে ভালো । অ্যান্টি-বায়োটিক ব্যবহারের পাশাপাশি বেটাডিন দিয়ে গার্গেল করুন । হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করা উচিত । অ্যাসিডিটি বেশি হলে কাশিও হয় । সাইনোসাইটিস থেকে কাশির সমস্যা হলে একটু হলুদ মেশালে ভালো ফল পাওয়া যায় ৷

কাশি কমানোর ঘরোয়া টিপস:

মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয় ৷ হাঁপানি বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পণ্য এবং খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ করা উচিত নয় ৷ ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন ৷

ধূমপান বন্ধ করা প্রয়োজন ৷ রাতে মাথা উঁচু করে ঘুমাতে যান ৷ ঘুমানোর আগে মধু খেতে পারেন ৷

শ্বাসকষ্ট হলে, তিন দিনের বেশি জ্বর হলে, নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে । যদি এক সপ্তাহের পরেও কাশি না কমে তবে আপনাকে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.