কবি দীপংকর মজুমদার লিখেছেন, "প্রস্তুতি নিই প্রিয় সন্ধ্যায় , ক্ষনিকের রাজা হতে ৷" উইকেন্ড মানেই অনেকের কাছেই মদিরায় মন ভোলানো ৷ মদ্যপায়ীরা সমাজে সমবেদনা না-পেলেও, সুরাপ্রীতিতে কোনও ফাঁকি দেখা যায়নি ৷ শ্রীকৃষ্ণের বড়ভাই বলরামের সুরায় আশক্তির কথা সর্বজনবিদিত । বিষ্ণুপুরাণে বারুণীকে সুরার দেবতা বলে বর্ণনা করা হয়েছে । তা সত্ত্বেও সুরাপান আজও সামাজিক স্বীকৃতি থেকে কয়েকশো যোজন দূরে ৷
এতো গেল সুরাপানের সামাজিক দিক ৷ কিন্তু যা 'পেটে পড়ছে', তার একটা শারীরিক দিকও আছে বৈকি ৷ ডাক্তারি পরিভাষায়, ঈষৎ সুরাপানে আপত্তি নেই ৷ কিন্তু তা মাত্রাতিরিক্ত হলেই বিপদ ৷ যকৃত, অন্ত্র সবেরই যন্ত্রনারও শেষ নেই ৷ কিন্তু যদি এমন 'সুরা’র খোঁজ পান, যা খেলে শুধু মনই নয়, চাঙ্গা হয় শরীরও, তাহলে তো সোনায় সোহাগা ৷ সেই খোঁজটাই দিলেন কনসাল্টটেন্ট ডায়েটিশিয়ান নবারুনা গঙ্গোপাধ্যায় ৷ শুধু খোঁজই নয়, এই 'মদিরা' আপনি বানাতে পারবেন বাড়িতেই ৷ অর্থাৎ, রেস্ত থেকে মন, সবই চনমনে ৷ পোশাকি নাম কাঞ্জি ৷ আরও একটু এগিয়ে গেলে স্বাস্থ্যকর রেড ওয়াইন যার উপকারিতা অনেক ৷
এই শীতের মরশুমে স্বাস্থ্যকর রেড ওয়াইন ৷ যা খেতেও সুস্বাদু ও পুষ্টিতে ভরপুর ৷ তবে এই পানীয় কীভাবে বানাবেন ? বললেন ডায়েটিশিয়ান ৷ একটি কাঁচের পাত্রে কুচি করে বিট ও কুচি করে কাটা গাজর ও সঙ্গে একচামচ সর্ষের গুড়ো এবং একচামচ পরিমাণ গোলমরিচ গুড়ো ও সন্ধব লবন দিয়ে পরিমাণ মতো মিনারেল ওয়াটার যোগ করে পাত্র ঢাকা দিয়ে দিন ৷ রোদে তিন থেকে চারদিন রেখে দিতে হবে ও মাঝে মাঝে চামচের সাহায্য নাড়িয়ে নিতে হবে ৷ ফারমেন্টেড প্রসেস শেষ হলে ভালো করে ছেকে একটি বোতলে ভরে রেখে পান করুন ৷
ডায়েটিশিয়ান নবারুনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এর উপকারিতা অনেক ৷ বিশেষ করে এই পানীয় খাওয়ার আগে 50 থেকে 100 ML করে খাওয়া ভালো ৷ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য় করে, ত্বককে গ্লোয়িং করতে সহায়তা করে, চোখের জন্য ভালো, শরীরকে হাইড্রেট করে ইত্যাদি ৷"
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)