শীতকালে শরীর সুস্থ রাখা প্রয়োজন ৷ খাদ্যতালিকায় পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি । এই ফল ও সবজি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে । ড্রাগন ফল এরমধ্যে একটি, যা প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর ফল । খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে অনেক উপকারী হতে পারে ৷ এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে । জেনে নিন এই ফলের উপকারিতা সম্বন্ধে ৷
ওজন কমাতে সহয়ক: ড্রাগন ফল কম ক্যালোরি এবং কম কার্বোহাইড্রেট আছে ৷ ফলে এটি ওজন কমানোর জন্য ভালো পদ্ধতি । এতে উপস্থিত উচ্চ ফাইবার এবং জলের উপাদানের কারণে ড্রাগন ফল ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ।
উচ্চ ফাইবার: ড্রাগনে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে ৷ ফলে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে । খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করলে হজমশক্তি ভালো হয় । এটিতে এক ধরণের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়, ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: ড্রাগন ফলের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার উপাদান রক্ত প্রবাহে চিনির শোষণকে ধীর করে দেয় ৷ যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে । ড্রাগন ফলের কম GI আছে ফলে এটি রক্ত প্রবাহে ধীরে ধীরে এবং অবিচ্ছিন্নভাবে চিনি ছেড়ে দেয় । ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ড্রাগন ফল কার্যকরী উপায় ৷
শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য় করে: ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে ফলে এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে ৷ খাবারে ড্রাগন ফল অন্তর্ভুক্ত করা শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে । এছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একটি কার্যকরী উপায় ৷
শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য় করে: ড্রাগন ফল শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে । এর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার শরীরের অস্বাস্থ্যকর চর্বি দূর করে । ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে ৷ ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিশিন- এর তথ্য অনুযায়ী, ড্রাগন ফল অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে ৷ এছাড়াও এই ফল একটি ব্যথানাশক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, অ্যান্টি-ক্যানসার, কার্ডিও-প্রতিরক্ষামূলক, লিভার প্রতিরক্ষামূলক এবং নিউরোপ্রোটেক্টিভ হিসাবে কাজ করে । https://pmc.ncbi.nlm.nih.gov/articles/PMC9861186/#:~:text=Many%20studies%20have%20shown%20that,trials%20were%20found%20and%20included.
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)