কলকাতা: সুন্দর গ্লোয়িং ত্বক সবাই চায় ৷ কিন্তু এত আবহাওয়া পরিবর্তনের মধ্য দূষণ ও রোদের জন্য যেমন আমরা নিজেরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তেমনই আমাদের ত্বকেও ক্ষতি করে ৷ ফলে ত্বকে নানান সমস্যা সৃষ্টি হয় ৷ ত্বকে আমরা নানান জিনিস ব্যবহার করে থাকি, যা ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে ৷
অনেকেই ব্রণর সমস্যায় ভোগেন । এ থেকে মুক্তির চেষ্টাও করে থাকেন । বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্রণর সমস্যার সমাধানে মাছ উপকারী হতে পারে ৷ সম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ব্রণর সমস্যার সমাধানে মাছের অবদান অনেক ৷
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাছ খেলে ব্রণ কমে যায় । ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ খাওয়া প্রয়োজন ৷ এটি একটি ভালো ওষুধের মতো কাজ করে । গবেষণাটি 'জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজি' (Journal of Cosmetic Dermatology) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে । জার্মানির লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই গবেষণাটি করেছেন ৷
এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের হালকা ব্রণ আছে তাঁদের 98% ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা কম ছিল । ফলে গবেষকরা জানান, ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভূমধ্যসাগরীয় খাবার যাঁরা খেয়েছেন, তাদের ফলাফল পাওয়া গিয়েছে । ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ করে মাছে সমৃদ্ধ যা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বকে তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে ৷ এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ডাঃ বেঞ্জামিন ক্ল্যানার ৷ তিনি বলেন, "ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য় করে ও রাসায়নিকগুলিকে ব্লক করে ব্রণ কমায় ৷"
তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ওমেগা-3 অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ভালো । স্যামন এবং সার্ডিনের মতো মাছে এটি বেশি থাকে । শুধুমাত্র ওমেগা-3 অ্যাসিড শুধুমাত্র মাছেই নয়, সবুজ শাক, আখরোট, চিয়া বীজ, জলপাই তেল, মটরশুটি, ডিম এবং শণের বীজেও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে । এছাড়াও এগুলি গ্লুকোজকে দ্রুত রক্তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়, যা ত্বকের জন্যও ভালো ।
ত্বকের সমস্যার সমাধানে কিছু জিনিস এড়িয়ে যাওয়া ভালো ৷ কিছু খাবার ত্বকের সসম্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে ৷ বিশেষত মশলাদার খাবার, ক্যাফেইন, চকলেট, জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি কম খাওয়া ভালো ৷ এই ধরনের খাবার যত কম খাবেন শরীরও থাকবে সুস্থ ও ত্বকেও ফিরবে জেল্লা ৷
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য নির্দিষ্ট গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এবং এর মতামত ও ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/24553997/