ETV Bharat / health

প্রয়োজনেও বাবা-মা সন্তানকে রক্ত দিতে পারেন না, কেন ? - BLOOD DONATION FACTORS

Blood Donation Factor to Children: জানেন কি যে মা-বাবা প্রয়োজনে তাঁদের সন্তানকে সরাসরি রক্ত ​​দিতে পারেন না ? রক্ত ​​দিতে না পারার নেপথ্যে অনেক কারণকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা । রইল এর কারণ ৷

Blood Group News
বাবা-মার রক্ত সবসময় সন্তানের জন্য কার্যকরী হয় না (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 31, 2024, 9:47 PM IST

কলকাতা: রক্তদান একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবনদানকারী প্রক্রিয়া, যা মানুষকে নতুন জীবন দিতে পারে । কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শিশুর জন্মদাতা বাবা-মা সন্তানকে সরাসরি রক্ত ​​দিতে পারেন না । শুধুমাত্র একটি নয়, একাধিক কারণ রয়েছে ৷

উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের অবসরপ্রাপ্ত মেডিক্যাল আধিকারিক এবং সমাজকর্মী ডাঃ রাম প্রকাশ ভার্মা বলেন, "অনেক বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের সরাসরি রক্ত ​​দিতে পারেন না । এর জন্য দায়ী অনেক বৈজ্ঞানিক ও জৈবিক কারণ ৷ যেমন- ABO ব্লাড গ্রুপ সিস্টেম, Rh ফ্যাক্টর, অ্যান্টিবডি এবং HLA ম্যাচিং ইত্যাদি ।"

তিনি ব্যাখ্যা করেন, রক্তদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল ABO রক্তের গ্রুপ সিস্টেম ৷ আসলে আমাদের রক্ত ​​চারটি প্রধান গ্রুপে বিভক্ত: A, B, AB এবং O । প্রত্যেক ব্যক্তির রক্ত ​​একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের, যা পিতামাতা থেকে বাহিত হয় । তবে প্রত্যেক মা-বাবা ও সন্তানের রক্তের গ্রুপ যে একই হবে, তা কিন্তু নয় ৷ আর বাবা-মায়ের রক্তের গ্রুপ যদি শিশুর রক্তের গ্রুপের সঙ্গে না মেলে, তাহলে মা অথবা বাবা তাঁদের সন্তানকে রক্ত ​​দিতে পারবেন না ৷ এগুলি ছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে যা পিতা-মাতার জন্য তাঁদের সন্তানকে রক্তদানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে । তেমনই কয়েকটি কারণ রইল ।

আরএইচ ফ্যাক্টর: Rh ফ্যাক্টর রক্তদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷ এটি এক ধরনের প্রোটিন, যা রক্তের পৃষ্ঠে পাওয়া যায় ৷ যদি একজন ব্যক্তির রক্তে এই প্রোটিন থাকে, তবে তাকে বলা হয় আরএইচ পজিটিভ ৷ যদি না থাকে, তবে তাকে বলা হয় আরএইচ নেগেটিভ । পিতা-মাতা এবং শিশুদের Rh ফ্যাক্টর ভিন্ন হলে, তাঁরা রক্ত ​​​​দান করতে পারে না । উদাহরণস্বরূপ, যদি শিশুটির Rh নেগেটিভ হয় এবং পিতামাতারা Rh পজিটিভ হয়, তবে রক্তদান সম্ভব হবে না ৷

অ্যান্টিবডির ভূমিকা: রক্তদানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অ্যান্টিবডি । সবার জানা দরকার, আমাদের শরীর একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) দিয়ে সজ্জিত, যা বাহ্যিক উপাদানগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে ৷ পিতা-মাতার রক্তে অসামঞ্জস্য থাকলে এবং সেই রক্ত ​​শিশুর রক্তে প্রবেশ করলে ওই শিশুর প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয় ৷ এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে শুরু করতে পারে ৷ এটি একটি গুরুতর অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং গুরুতর সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে ।

এইচএলএ-এর গুরুত্ব: রক্তদানে এইচএলএ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) ম্যাচিংও গুরুত্বপূর্ণ । এইচএলএ আমাদের শরীরের কোষ শনাক্ত করতে সাহায্য করে ।

ব্যবহারের আগে রক্ত ​​পরীক্ষা করা প্রয়োজন: ডাঃ রাম প্রকাশ ভার্মা ব্যাখ্যা করেন, বাবা-মা সন্তানের জন্যও জরুরি পরিস্থিতিতে রক্তদান করতে পারবেন না । যদি তাঁরা রক্ত ​​দিতে চান, তাহলে তাঁদের রক্তকেও সমস্ত পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে । রক্তের প্রয়োজন হলে বা রক্তদানের সময় ব্লাড ব্যাঙ্ক বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি ৷

'Stanford Blood Centre' জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আমাদের Rh অবস্থা লোহিত রক্তকণিকা (RBCs)-এ পাওয়া অ্যান্টিজেন দ্বারা নির্ধারিত হয় । আরএইচ-পজিটিভ বা আরএইচ-নেগেটিভ হওয়ার অর্থ হল আপনার আরবিসিতে রিসাস ডি অ্যান্টিজেন আছে (পজিটিভ) অথবা আপনি নেই (নেতিবাচক)।

https://stanfordbloodcenter.org/can-two-rh-positive-parents-have-an-rh-negative-child/

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷

কলকাতা: রক্তদান একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবনদানকারী প্রক্রিয়া, যা মানুষকে নতুন জীবন দিতে পারে । কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শিশুর জন্মদাতা বাবা-মা সন্তানকে সরাসরি রক্ত ​​দিতে পারেন না । শুধুমাত্র একটি নয়, একাধিক কারণ রয়েছে ৷

উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের অবসরপ্রাপ্ত মেডিক্যাল আধিকারিক এবং সমাজকর্মী ডাঃ রাম প্রকাশ ভার্মা বলেন, "অনেক বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের সরাসরি রক্ত ​​দিতে পারেন না । এর জন্য দায়ী অনেক বৈজ্ঞানিক ও জৈবিক কারণ ৷ যেমন- ABO ব্লাড গ্রুপ সিস্টেম, Rh ফ্যাক্টর, অ্যান্টিবডি এবং HLA ম্যাচিং ইত্যাদি ।"

তিনি ব্যাখ্যা করেন, রক্তদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল ABO রক্তের গ্রুপ সিস্টেম ৷ আসলে আমাদের রক্ত ​​চারটি প্রধান গ্রুপে বিভক্ত: A, B, AB এবং O । প্রত্যেক ব্যক্তির রক্ত ​​একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের, যা পিতামাতা থেকে বাহিত হয় । তবে প্রত্যেক মা-বাবা ও সন্তানের রক্তের গ্রুপ যে একই হবে, তা কিন্তু নয় ৷ আর বাবা-মায়ের রক্তের গ্রুপ যদি শিশুর রক্তের গ্রুপের সঙ্গে না মেলে, তাহলে মা অথবা বাবা তাঁদের সন্তানকে রক্ত ​​দিতে পারবেন না ৷ এগুলি ছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে যা পিতা-মাতার জন্য তাঁদের সন্তানকে রক্তদানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে । তেমনই কয়েকটি কারণ রইল ।

আরএইচ ফ্যাক্টর: Rh ফ্যাক্টর রক্তদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷ এটি এক ধরনের প্রোটিন, যা রক্তের পৃষ্ঠে পাওয়া যায় ৷ যদি একজন ব্যক্তির রক্তে এই প্রোটিন থাকে, তবে তাকে বলা হয় আরএইচ পজিটিভ ৷ যদি না থাকে, তবে তাকে বলা হয় আরএইচ নেগেটিভ । পিতা-মাতা এবং শিশুদের Rh ফ্যাক্টর ভিন্ন হলে, তাঁরা রক্ত ​​​​দান করতে পারে না । উদাহরণস্বরূপ, যদি শিশুটির Rh নেগেটিভ হয় এবং পিতামাতারা Rh পজিটিভ হয়, তবে রক্তদান সম্ভব হবে না ৷

অ্যান্টিবডির ভূমিকা: রক্তদানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অ্যান্টিবডি । সবার জানা দরকার, আমাদের শরীর একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) দিয়ে সজ্জিত, যা বাহ্যিক উপাদানগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে ৷ পিতা-মাতার রক্তে অসামঞ্জস্য থাকলে এবং সেই রক্ত ​​শিশুর রক্তে প্রবেশ করলে ওই শিশুর প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয় ৷ এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে শুরু করতে পারে ৷ এটি একটি গুরুতর অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং গুরুতর সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে ।

এইচএলএ-এর গুরুত্ব: রক্তদানে এইচএলএ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) ম্যাচিংও গুরুত্বপূর্ণ । এইচএলএ আমাদের শরীরের কোষ শনাক্ত করতে সাহায্য করে ।

ব্যবহারের আগে রক্ত ​​পরীক্ষা করা প্রয়োজন: ডাঃ রাম প্রকাশ ভার্মা ব্যাখ্যা করেন, বাবা-মা সন্তানের জন্যও জরুরি পরিস্থিতিতে রক্তদান করতে পারবেন না । যদি তাঁরা রক্ত ​​দিতে চান, তাহলে তাঁদের রক্তকেও সমস্ত পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে । রক্তের প্রয়োজন হলে বা রক্তদানের সময় ব্লাড ব্যাঙ্ক বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি ৷

'Stanford Blood Centre' জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আমাদের Rh অবস্থা লোহিত রক্তকণিকা (RBCs)-এ পাওয়া অ্যান্টিজেন দ্বারা নির্ধারিত হয় । আরএইচ-পজিটিভ বা আরএইচ-নেগেটিভ হওয়ার অর্থ হল আপনার আরবিসিতে রিসাস ডি অ্যান্টিজেন আছে (পজিটিভ) অথবা আপনি নেই (নেতিবাচক)।

https://stanfordbloodcenter.org/can-two-rh-positive-parents-have-an-rh-negative-child/

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.