হায়দরাবাদ: শরীরে দু’ধরনের কোলেস্টেরল থাকে । একটি হল এলডিএল এবং অন্যটি হল এইচডিএল । এটিকে সাধারণ ভাষায় ভালো কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয় । রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল জমে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, প্যারালাইসিসের মতো সমস্যা হতে পারে । সেজন্য চর্বি কমানো জরুরি । এইক্রমে পেটের চর্বি গলানোর জন্য অনেকে ওষুধের আশ্রয় নেন । বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘদিন ওষুধ খেলে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় । সে জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।
ব্যায়াম: বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিদিনের ব্যায়ামের মাধ্যমে উচ্চ কোলেস্টেরল কমানো যায় । ব্যায়াম শুধু কোলেস্টেরলই কম করে না, পেশীকেও শক্তিশালী করে । এটি টাইপ 2 ডায়াবেটিস হ্রাস-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতেও বলা হয় ।
মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট: যদি কোলেস্টেরল কমাতে চান, তাহলে আপনার খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিবর্তে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ করা ভালো । এই ধরনের চর্বি আমাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ৷ ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে । অনেক গবেষণায় জানা গিয়েছে, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো এবং বাদাম সবই মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের উদাহরণ ।
'দ্য ল্যানসেট জার্নালে' প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছ, যারা ভূমধ্যসাগরীয় খাবার খেয়েছেন (উচ্চ মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং লেবু) তাদের খারাপ কোলেস্টেরল কম এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কম । এই গবেষণায় স্পেনের বার্সেলোনায় প্রাইমারি কেয়ার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইএমআইএম) পরিচালক ডাঃ সার্জিও ডি নিউরিস অংশ নিয়েছিলেন ।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে কোলেস্টেরল বেড়ে যায় । তবে রোগা মানুষের মধ্যেও এমন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । তাই আমাদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা উচিত । এর জন্য বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন ৷ ফল, শাকসবজি, শস্যের মতো ভালো খাবার গ্রহণ করুন । বিশেষজ্ঞরা জানান, পর্যাপ্ত ঘুমের মতো পদ্ধতির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সম্ভব ।
দ্রবণীয় ফাইবার: দ্রবণীয় ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া এলডিএল মাত্রা কমাতে পারে ৷ 'আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন' জার্নালে এই সমীক্ষা প্রকাশ পেয়েছে । ওটস, বার্লি, ছোলা, বিনস, আপেল, নাশপাতি গ্রহণ করা ভালো ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য নির্দিষ্ট গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এবং এর মতামতও ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত ৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)