নয়াদিল্লি, 16 এপ্রিল: বর্তমানে সারা বিশ্বে স্তন ক্যানসার একটি সাধারণ কার্সিনোজেনিক রোগে (ক্যানসার সৃষ্টিকারী জীব) পরিণত হয়েছে ৷ কার্সিনোজেন প্রাকৃতিক পরিবেশেও (সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এবং নির্দিষ্ট কিছু ভাইরাস দ্বারা) ঘটতে পারে ৷ আবার মানুষের দ্বারাও (অটোমোবাইল নিষ্কাশনের ধোঁয়া ও সিগারেটের ধোঁয়া) উৎপন্ন হতে পারে ৷
ল্যানসেট কমিশনের তথ্য বলছে, এই রোগটি 2040 সালের মধ্যে এক মিলিয়ন অর্থাৎ 10 লক্ষ মৃত্যুর কারণ হতে পারে ৷ 2020 সালের শেষ পর্যন্ত পাঁচ বছরে প্রায় 7.8 মিলিয়ন মহিলা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন । একই বছর প্রায় 6 লক্ষ 85 হাজার মহিলা এই রোগে মারা গিয়েছিল ৷
ল্যানসেট কমিশনের অনুমান, 2020 সালে 2.3 মিলিয়ন থেকে 2040 সালের মধ্যে 3 মিলিয়নেরও বেশি স্তন ক্যানসারের ঘটনা দেখা যাবে বিশ্বব্যাপী ৷ তার জেরে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলি অনুপাতিকভাবে প্রভাবিত হবে ৷ 2040 সাল নাগাদ, এই রোগের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা হবে এক মিলিয়ন ৷ ল্যানসেটের রিপোর্ট বলছে, স্তন ক্যানসার বা এই সংক্রান্ত রোগ অনেকেই লজ্জায় লুকিয়ে যান ৷ সঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো হয় না ৷ এছাড়াও অনেকেই হতাশা ও খরচের কথা ভেবে পিছিয়ে যান ৷
স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলার জন্য ল্যানসেট কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে ৷ যা রোগীদের জীবনযাত্রার মান, শরীরের চিত্র, থেরাপি মেনে চলা এবং বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমোরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের রেশমা জাগসির কথায়,"নারীদের মৌলিক মানবাধিকার ঐতিহাসিকভাবে পুরুষদের তুলনায় কম ৷ সম্মানও কম দেওয়া হয় তাদের ৷ প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মীর উচিত যোগাযোগ দক্ষতার প্রশিক্ষণ নেওয়া ৷ রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগের মান উন্নত করতে হবে ৷ রোগীকে উৎসাহিত করতে হবে ৷ তাদের যথাযথ যত্ন নিতে হবে ৷"
আরও পড়ুন :