কলকাতা, 8 এপ্রিল: বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিনেত্রী দামিনী বেণী বসু এবং তাঁর নাট্য শিক্ষাগুরু সুমন মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে শুরু হয় চরম টানাপোড়েন । ঘটনার সূত্রপাত, বেণী অভিনীত 'ছোটলোক' দেখার পরে সোশাল মিডিয়ায় সুমনের ভূয়সী প্রশংসার পর । প্রশংসার উত্তরে অভিনেত্রী সুমনের কাছে প্রশ্ন রাখেন, যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়কে কেন তিনি দলে জায়গা দিলেন ? অভিনেত্রীর প্রশ্ন, যাঁরা সুদীপ্তর হেনস্থার শিকার তাঁদের নিরাপত্তা কোথায় ?
অবাক কাণ্ড সুমন এর উত্তরে সোশাল মিডিয়ায় টুঁ শব্দটিও করেননি । এরপর বেণীর পাশে এসে দাঁড়ান নেটিজেনরা । সব দেখেও চুপ ছিলেন সুমন মুখোপাধ্যায় । অবশেষে রবিবার কলম ধরলেন তিনি । এ দিন সোশাল মিডিয়ায় সুমন লিখেছেন, "উৎপল দত্ত স্বঘোষিত মার্ক্সবাদী । বেণীমাধব চট্টোপাধ্যায় ওরফে কাপ্তেনবাবুর মধ্যে মিশে রয়েছেন তিনি । শিখেছি বারবার ওঁর কাছে, কী করে ভুল শুধরে নিতে হয় । উৎপলবাবুর ব্রেশট তর্জমায়- বুদ্ধিমান সে নয় যে ভুল করে না, বুদ্ধিমান সে যে ভুল তাড়াতাড়ি শুধরে নিতে পারে ।"
নাট্য সংস্থা 'মুখোমুখি'র পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় বিলু দত্ত জানিয়েছেন, 'টিনের তলোয়ারে' আর থাকছেন না যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় । 'টিনের তলোয়ার' নাটকের সমস্ত কলাকুশলীর তরফে 'মুখোমুখি'র তরফে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, "টিনের তলোয়ার প্রযোজনায় সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় আর অভিনয় করছেন না । প্রথম অভিনয়ের পরই টিনের তলোয়ার প্রযোজনায় ওঁকে আর রাখা হয়নি । সুদীপ্তবাবুকে এই নাটকে যুক্ত করা আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল । সেই ভুল শোধরাতেই প্রথম অভিনয়ের পরেই 'টিনের তলোয়ার' প্রযোজনা থেকে ওঁকে সরে যেতে বলা হয় অবিলম্বে । তারপরে সুদীপ্তবাবুকে বাদ দিয়ে এ নাটকের তিনটি অভিনয় হয়ে গিয়েছে । পরবর্তী অভিনয় 27 এপ্রিল অ্যাকাডেমিতে 2টে 30 মিনিটে ।"
এই বিজ্ঞপ্তি সকলের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়ে সুমন মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, "বুদ্ধিমানেরা ভুল করে না এমন নয় । তবে যারা দ্রুত ভুল সংশোধন করে নিতে পারে তারাই প্রকৃত বুদ্ধিমান ।" এরপরেও সরব হয়েছেন বেণী বসু । তিনি পালটা বিবরণীতে লিখেছেন, অন্য কেউ হলে এই পদক্ষেপে তিনি আহত হতেন না । বিষয়টির সঙ্গে যেহেতু বিলু দত্ত এবং সুমন মুখোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্ব জড়িত তাই তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এই ঘটনা ।
আরও পড়ুন: