হায়দরাবাদ, 2 নভেম্বর: শাহরুখ খান, এমন এক ব্যক্তি যখন তিনি কথা বলেন সকলে হাঁ হয়ে শোনেন ৷ যখন তিনি দু'হাত মেলে ধরেন তখন লাখো রমনী সেই উষ্ণতা নেওয়ার স্বপ্ন দেখেন ৷ যখন তিনি পলট বলেন, তখন কার সাধ্যি সেই ডাক নাকচ করে! বলিউডের এহেন হিরো হয়ে ওঠার জার্নিটা কিন্তু সহজ ছিল না কিং খানের ৷ আজকের বাদশাকে একসময় 'এক্সট্রিমলি আগলি' (Extremely Ugly) অর্থাৎ কুৎসিত বলে হিরোর চরিত্র থেকে বাদ দেন বড় পরিচালকও ৷ আর জীবন তথা কেরিয়ারের মোড় ঘোরে সেখান থেকেই ৷ বাদশার 59তম জন্মদিনে জানা যাক অজানা সেই গল্প ৷
সুইট লাভার বয় হিসাবে বিটাউনে জার্নি শুরু করেছিলেন কিং খান ৷ সেখান থেকে অবসেসড লাভার আবার কখনও নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গিয়েছে শাহরুখকে ৷ হিরো থেকে খলনায়ক হওয়ার ড্রাস্টিক মুভ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন বাদশা ৷ সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার নেপথ্যে ছিল একাধিক কারণও ৷ এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় জীবনের সেই কঠিন গল্প ছাত্রদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন শাহরুখ ৷ তিনি সেদিন বুঝিয়েছিলেন, স্বপ্ন দেখার গুরুত্ব ঠিক কতখানি ৷
অভিনেতা বলেন, "হাতে গোনা অভিনেতা হবে যাঁরা একজন রোমান্টিক হিরো থেকে সরাসরি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হবেন ৷ কিন্তু আমি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম ৷ এই নয়ে যে আমি সাহসী ছিলাম ৷" এরপরেই কেন ভায়োলেন্ট চরিত্র সেই সময়ে বেছে নিয়েছিলেন নেপথ্যের কারণ তুলে ধরেন জওয়ান অভিনেতা ৷
তিনি বলেন, "ভীষণ প্রিয় এক পরিচালক তথা বন্ধু হতাশ করেছিল আমায় ৷ তিনি বলেছিলেন আমি ভীষণ কুৎসিত দেখতে ৷ আর খারাপ দেখতে হওয়া মানে খারাপ চরিত্র অর্থাৎ খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করা ৷ তিনি জানান, আমি রোমান্টিক হিরো টাইপ নই ৷ আসলে তিনি পার্টিকুলার এই শব্দ ব্যবহার করে বলেছিলেন যে আমার ফেস চকোলেট বয়দের মতো নয়৷"
বাদশা এরপর হাসতে হাসতে বলেন, "এরপর আমি প্রচুর চকোলেট খাওয়া শুরু করলাম যাতে তার ছাপ কিছুটা আমার মুখে পড়ে ৷ আর তারপরেই আমি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়ে গেলাম ৷ আমাকে যখন সুইস চকোলেটের মতো দেখতে নয় তাহলে কি করা যাবে ৷ খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়ে গেলাম ৷ তারপরেই সেই সুইৎজারল্যান্ডে ডর ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করি ৷"
এরপরেই আসে কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় টুইস্ট ৷ যখন শাহরুখ ডর ছবির শুটিং শেষ করেন তখন স্বনামধন্য পরিচালক যশ চোপড়া শাহরুখকে ডেকে এক মিষ্টি প্রেমের গল্প নিয়ে সিনেমা বানানোর কথা বলেন ৷ তিনি নাকি শাহরুখকে বলেন, "তোমাকে মোটেও খলনায়কের মতো দেখতে নয় ৷" তারপর ইতিহাস ৷ তৈরি হয় দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে ৷ যা ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে কাল্ট ছবি হিসাবে থেকে গিয়েছে ৷