কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আজ একজোট বাংলার পরিচালক ও প্রযোজকরা । আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য । সেদিন কারওকে সেভাবে পাশে না-পেলেও আজ পরিচালক ও প্রযোজকেরা স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিবৃতি পেশ করায় খুশি রূপা থুড়ি রূপালি ভট্টাচার্য । ইটিভি ভারতের সঙ্গেই সে কথা প্রথম ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী ।
তিনি বলেন, "2019 সালেই আমার মনে হয়েছিল যোগ্য লোক ওই পদাধিকার পাক । তাই শিরদাঁড়া সোজা রেখে কথাটা বলেছিলাম । একজন অভিনেতা যদি ট্রেন চালাতে যান তা হলে কেমন হয় ? এখানেও ঠিক সেটাই চলছে এত বছর ধরে । এতগুলো গিল্ডের মাথায় যিনি রয়েছেন তাঁর ইন্ডাস্ট্রি সম্বন্ধে ন্যুনতম ধ্যারণা নেই । শুধুমাত্র রাজনৈতিক ঝান্ডা আছে বলেই দায়িত্বে আছেন । রাজনৈতিক ঝান্ডা রাজ চক্রবর্তীরও আছে । তিনি গিল্ডগুলির মাথায় বসলে আমার কোনও কথা নেই । কেননা তিনি ইন্ডাস্ট্রির মানুষ । সিনেমাটা জানেন । আগে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন । এখানে কীভাবে কাজ হয় তা তিনি জানেন । তাই তিনি যদি গিল্ডের মাথায় বসেন তা হলে কোনও সমস্যাই হবে না ।"
ফেডারেশনের তরফে 'সুরক্ষা বন্ধু' কমিটি নিয়ে আসার দিন সাক্ষাৎকারে স্বরূপ বিশ্বাসকে বলতে শোনা যায়, টলিউডের অন্দরে হেনস্তার যে সব অভিযোগ উঠেছে তার বেশিরভাগই পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে । এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলার পরিচালক-প্রযোজকরা । অসন্তোষ প্রথমে আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে তা হাজির হয় বিবৃতির আকারে ।
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, "যৌন হয়রানি শুধুমাত্র পরিচালক ও প্রযোজকরাই করেন, এই সিদ্ধান্তে উনি কীভাবে পৌঁছলেন, তার কোনও ব্যাখ্যা তিনি দেননি ৷" এই প্রসঙ্গে রূপা বলেন, "প্রযোজক পরিচালকেরা যেহেতু ক্ষমতাশালী, তাই তাঁদের জোর বেশি ৷ এই কাজ তাঁদের করার সুযোগ বেশি । গর্জে উঠতে হবে । তবে, ধরা পড়লে শাস্তি পাবেন তো তাঁরা ? থিয়েটারে শাস্তি দেওটা হয় ।"
কাকতালীয়ভাবে রূপার এই বক্তব্যের 24 ঘণ্টা যেতে না যেতেই ডিরেক্টরস গিল্ড সাসপেন্স করেছে নারী নিগ্রহে অভিযুক্ত অরিন্দম শীলকে । স্বভাবতই খুশি রূপালি ভট্টাচার্য । এ প্রসঙ্গে ভিক্টিম ব্লেমিং নিয়েও কথা বলেন অভিনেত্রী ৷ সেক্ষেত্রে মেয়েদের প্রতিবন্ধকতা কোথায় তাও তুলে ধরেছেন তিনি ।