কলকাতা, 5 অক্টোবর: পুজোর আবহেই মুক্তি পাচ্ছে দেব-রুক্মিণী মৈত্র, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত 'টেক্কা'। ছবি মুক্তির আগে নাকি বেশ চিন্তায় থাকতেন অভিনেত্রী রুক্মিণী ৷ তাঁর সাফ কথা, আগে 'টেক্কা' দেখার পর মানুষের প্রতিক্রিয়া জানবেন তারপরে পুজোয় মাতবেন। ছবির প্রোমোশন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাই কেনাকাটাও হয়নি সেভাবে ৷ ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি থেকে বর্তমান, দুর্গাপুজো নিয়ে আবেগতাড়িত রুক্মিণী ৷
অভিনেত্রী বলেন, "আমি অনেক ছোট বেলাতেই বড় হয়ে গেছি। কেননা অনেক ছোট থেকেই মডেলিং করি। যখন ভাবলাম বন্ধুদের সঙ্গে ম্যাডক্স স্কোয়ারে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে এদিক ওদিক দেখব মজা করব তখম দেখলাম চারদিকে নানান ব্র্যান্ডের পোস্টারে আমি। আর লোকে আমাকে দেখছে, সেলফি, তুলতে আসছে। ফলে সেই মজাটা আমি পাইনি। আমার জীবনের তিন রকমের পুজোর অভিজ্ঞতা রয়েছে ৷"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "ছোটবেলায় গাড়ির ডিকিতে শুয়ে ঠাকুর দেখা একরকমের আর এই ম্যাডক্স স্কোয়ারে চারদিকে যখন আমার পোস্টার তখন এক একরমের ৷ আর এখন যখন পুজোতে ছবি রিলিজ করে তখন এক রকমের পুজো। পুজোতে ছবি রিলিজ থাকলে খুব টেনশনে থাকি ৷ যতক্ষণ না দর্শকের প্রতিক্রিয়া পাই ততক্ষণ খুব টেনশনে থাকি। ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর নিশ্চিন্ত হই। তারপর ঠাকুর দেখি। তা ছাড়া পুজো পরিক্রমার মাধ্যমে আমাদের প্যান্ডেল হপিং হয়ে যায়। পুজো মানে এখন এটাই।"
এরপরেই রুক্মিণী জানান, মেয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে মা-ই নাকি সব দিক সামলে দিচ্ছেন ৷ অষ্টমী পুজোর স্পেশাল শাড়িটা চিরকাল মায়ের পছন্দেরই পরেন তিনি। শুধু তাই নয়, যেদিন থেকে শাড়ি পরা শুরু করেছেন সেদিন থেকে অষ্টমীর দিন অভিনেত্রীকে সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়ে দেন তাঁর মা ৷ এক লহমায় ছোটবেলার পুজোয় ফিরে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, লম্বা হওয়ার কারণে গাড়ির ডিকিতে তুলে দিত তাঁর পরিবার। সেখান থেকেই চলত প্রতিমা দর্শন ৷