হায়দরাবাদ, 30 সেপ্টেম্বর: প্রায় একমাস নানা টালবাহানা-বিতর্ক সামলে অবশেষে আশার আলো দেখছে কঙ্গনা রানাওয়াত পরিচালিত ও অভিনীত 'এমারজেন্সি' ছবি ৷ 6 সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে ছবির মুক্তির কথা থাকলেও বাধ সাধে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) ৷ জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ সোমবার ছবিকে ঘিরে খুশির খবর এলেও একপ্রকার হার মানতে বাধ্য হলেন বলিউডের 'ঝাঁসির রানি' ৷ সিবিএফসি-র সংশোধন কমিটির কথা মেনে ছবিতে বিশেষ কিছু দৃশ্য বদলাতে রাজি হয়েছে ছবির প্রযোজকরা ৷
সিবিএফসি-র তরফে ছবির শংসাপত্র না পাওয়ায় বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রযোজক কোম্পানি জি স্টোডিয়োজ ৷ সোমবার সেই মামলার শুনানিতে প্রযোজকের তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, সংশোধন কমিটি সিনেমার দৃশ্যে যে সকল পরিবর্তনের কথা বলেছে তা মেনে নিচ্ছে ছবির টিম ৷ ইতিমধ্যেই সংশোধন কমিটির প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার, 3 অক্টোবর ৷
এর আগে এক্স হ্যান্ডেলে কঙ্গনা সিবিএফসি-র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন ৷ তিনি সিবিএফসি'র সমালোচনা করে লেখেন, "বিষয়টা সম্পূর্ণ অবৈধ ৷" এমনকী, আদালতে যে সিবিএফসি-র মুখ পুড়েছে সেই নিয়েও এক্স হ্যান্ডেলে মন্তব্য করেন কঙ্গনা ৷ আইএএনএস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে 'কুইন' বলেন, "ছবির মুক্তিতে অনেক দেরি হচ্ছে ৷ আশা করি সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে ৷ আমি দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করে যাব ৷ আমি আমার সিনেমাকে রক্ষা করার জন্য আদালতেরও শরনাপন্ন হব ৷ শুধুমাত্র হুমকি দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে ইতিহাস বদলানো যায় না ৷"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের পর্দায় সত্যিটা দেখাতে হবে ৷ একজন 70 বছর প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে তাঁর বাড়ির বাগানে 30-35 বার গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছে ৷ কেউ তো তাঁকে খুন করেছে ৷ আর সেটাই দেখাতে চাইলে বলা হচ্ছে মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে ৷ কিন্তু তোমাকে তো ইতিহাসটা দেখাতে হবে যে তিনি কিভাবে মারা গিয়েছেন ৷"
With a heavy heart I announce that my directorial Emergency has been postponed, we are still waiting for the certification from censor board, new release date will be announced soon, thanks for your understanding and patience 🙏
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 6, 2024
প্রসঙ্গত, এই ছবির ট্রেলার সামনে আসার পরেই ক্ষোভ প্রদর্শন করে বিভিন্ন সংগঠন ৷ বিশেষ করে শিখ সম্প্রদায়ের তরফে এই ছবির মুক্তি নিয়ে আপত্তি জানানো হয় প্রথম থেকেই ৷ শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি (SGPC)-ও এই ছবির মুক্তির বিপক্ষে যায় ৷ ছবি ব্যান করার জন্য আর্জি জানানো হয় ৷ এখন দেখার, ছবির কোন কোন দৃশ্য বাদ দিতে রাজি হন কঙ্গনা রানাওয়াত ও ছবির প্রযোজকগণ ৷