ETV Bharat / business

ভারতের 48 লক্ষ কোটি টাকার বাজেটের অর্থ কোথা থেকে আসবে ? - Union Budget 2025

Union Budget 2024-25: আগামী সপ্তাহে লোকসভায় পেশ হবে 2024-25 অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট ৷ সেই বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের একটি গতিপথ সামনে এসেছে ৷ সেই গতিপথ অনুযায়ী, বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ গত পাঁচ বছরের মধ্যে 27 লক্ষ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 47.66 লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে ৷ এই নিয়েই লিখেছেন কৃষ্ণানন্দ ৷

Union Budget 2024-25
ভারতের 48 লক্ষ কোটি টাকার বাজেটের অর্থ কোথা থেকে আসবে ? (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 15, 2024, 3:12 PM IST

নয়াদিল্লি, 15 জুলাই: আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করতে চলেছেন । এবার 2024-25 আর্থিক বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন তিনি ৷ লোকসভা নির্বাচনের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে মোদি সরকারের তরফে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল ৷ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কেন্দ্রীয় বাজেটের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ 2019-20 অর্থবর্ষে প্রায় 27 লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছিল ৷ চলতি আর্থিক বছরের শেষের দিকে তা পৌঁছাতে পারে 47.66 লক্ষ কোটি টাকায় ৷ ফলে মাত্র পাঁচ বছরে 76 শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বাজেট বরাদ্দ ।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী 2024-25-এর অন্তর্বর্তী বাজেটে যে তথ্য তুলে ধরেছিলেন, সেই তথ্য অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে এই আর্থিক বছরে দেশের মোট নামমাত্র জিডিপির 15 শতাংশ আসতে পারে ৷ যার পরিমাণ হতে পারে 327 লক্ষ কোটি টাকা ৷

বাজেটের তথ্য ইটিভি ভারত বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে চক্রবৃদ্ধি হারে কেন্দ্রীয় বাজেটের বার্ষিক বৃদ্ধির হার পাঁচ বছরের সময়কালে দেশের নামমাত্র জিডিপি বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি । সংবিধানের 112 অনুচ্ছেদের অধীনে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি আর্থিক বছরের জন্য তার আনুমানিক প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের একটি বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সংসদে উপস্থাপন করে, যা সাধারণত কেন্দ্রীয় বাজেট হিসাবে উল্লেখ করা হয় ।

তাহলে সরকার এত বড় তহবিলের ব্যবস্থা করে কিভাবে: এত বড় বাজেটের জন্য তিনটি প্রধান উৎস রয়েছে । এগুলি হল সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তি (কর রাজস্ব এবং কর-বহির্ভূত রাজস্ব) এবং মূলধন প্রাপ্তি (ঋণ গ্রহণ ও পুনরুদ্ধার), যা সরকার তার সামগ্রিক বাজেট ব্যয় ও রাজস্ব সংগ্রহের ঘাটতি পূরণের জন্য মূলত ধার করে ।

রাজস্ব প্রাপ্তি: সরকারের রাজস্ব পাওয়ার বিষয়টিকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৷ একটি হল কর থেকে আসা রাজস্ব, যা মূলত আয়কর থেকে পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ, কর্পোরেট ট্যাক্স, শুল্ক, আবগারি শুল্ক এবং জিএসটি-সহ আরও কিছু কর ৷ দ্বিতীয়টি হল কর-বহির্ভূত রাজস্ব প্রাপ্তি, এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও ব্যাংকগুলি থেকে আসা লভ্যাংশ ও মুনাফা ৷

কর থেকে আসা রাজস্ব: সরকারের সংগৃহীত অর্থের তিনটি উৎসের মধ্যে কর থেকে আসা রাজস্বই সবচেয়ে বড় । 2019-20 অর্থবর্ষে কেন্দ্রের রাজস্বের পরিমাণ ছিল 13.57 লক্ষ কোটি টাকা, যা সেই বছরের 26.86 লক্ষ কোটি টাকার মোট বাজেটের 50.5 শতাংশ ছিল । তাই কর থেকে আসা রাজস্ব সেই বছর সরকারের মোট প্রাপ্তির অর্ধেকেরও বেশি ছিল ।

যাইহোক, এই বছর কর থেকে আসা রাজস্ব 26 লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে । পাঁচ বছরে এটি প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে । কেন্দ্রীয় সরকারের মোট প্রাপ্তির হিসেবে, তা প্রায় 55 শতাংশ হবে৷ প্রবণতা থেকে স্পষ্ট যে পাঁচ বছরে সরকারের সামগ্রিক প্রাপ্তি ও ব্যয়ে করের অংশ 50.5 শতাংশ থেকে প্রায় 55 শতাংশে উন্নীত হয়েছে ।

কর বহির্ভূত রাজস্ব: কেন্দ্রের কর বহির্ভূত রাজস্ব প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে সুদ থেকে আসা টাকা, লভ্যাংশ ও মুনাফা ৷ অন্যান্য কর-বহির্ভূত রাজস্ব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রাপ্তি । 2019-20 আর্থিক বছরে কর-বহির্ভূত রাজস্ব ছিল 3.27 লক্ষ কোটি টাকা ৷ বর্তমান আর্থিক বছরে এর পরিমাণ 3.99 লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ যা বছরের মোট বাজেটের 8 শতাংশের সামান্য বেশি ।

মূলধন প্রাপ্তি: মূলধন প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে ব্যয় মেটানোর জন্য একটি আর্থিক বছরে নেওয়া সরকারের ঋণ ৷ সরকার কর্তৃক আগে দেওয়া ঋণের পুনরুদ্ধার এবং অন্যান্য প্রাপ্তিগুলিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে । উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, 2019-20 অর্থবর্ষে 10 লক্ষ কোটি টাকার মোট মূলধন প্রাপ্তির মধ্যে ছিল 9.33 লক্ষ কোটি টাকার ঋণ ৷ বাকি টাকা এসেছিল অন্যান্য প্রাপ্তি ও ঋণের পুনরুদ্ধার থেকে ৷ যার পরিমাণ কম ছিল । সেই বছর মূলধন প্রাপ্তি 7 শতাংশেরও বেশি ।

চলতি আর্থিক বছরে 47.66 লক্ষ কোটি টাকার বাজেটের প্রেক্ষিতে 17.64 লক্ষ কোটি টাকা মূলধন প্রাপ্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এর মধ্যে সরকারের ঋণের পরিমাণ 16.85 লক্ষ কোটি টাকা ৷ নতুন ঋণ, যা মূলধন প্রাপ্তির (মোট মূলধন প্রাপ্তির 95.5 শতাংশ) বেশিরভাগ ভাগ অংশ পূরণ করবে, তা এই বছরে সরকারের মোট প্রাপ্তির 35 শতাংশের বেশি হবে ৷ কর থেকে আসা রাজস্বের পরিমাণ মোট প্রাপ্তির 55 শতাংশ হতে পারে ৷ ফলে ঋণ সরকারি তহবিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হতে পারে ৷

কয়েক বছর ধরে বৃদ্ধির প্রবণতা: মাত্র পাঁচ বছরে, 2019-20 থেকে 2024-25 অর্থবর্ষ, এই পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় সংক্রান্ত বাজেট প্রায় 27 লক্ষ কোটি থেকে বেড়ে 48 লক্ষ কোটি টাকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

কেন্দ্রীয় বাজেট গত পাঁচ বছরে 12 শতাংশের বেশি চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । যদি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট করা ব্যয় পরবর্তী আর্থিক বছরেও একই হারে বৃদ্ধি পায়, তাহলে 2025-26 আর্থিক বছরে (ছয় বছরে) কেন্দ্রীয় বাজেটের আকার দ্বিগুণ হয়ে 26.86 লক্ষ কোটি টাকা থেকে 54 লক্ষ কোটি টাকা হবে । প্রতি বছর প্রায় 12.25 শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে হবে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ।

এটা তাৎপর্যপূর্ণ ৷ কারণ এই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ভারতের জিডিপি 2019-20 আর্থিক বছরে 204 লক্ষ কোটি টাকা থেকে 2024-25 আর্থিক বছরে 327 লক্ষ কোটি টাকা হবে ৷ এই বৃদ্ধি 9.9 শতাংশের চক্রবৃদ্ধি হারে হবে বলে আশা করা হচ্ছে ।এর অর্থ হল এই সময়ের মধ্যে দেশের নামমাত্র জিডিপি বৃদ্ধির হারের তুলনায় কেন্দ্রীয় বাজেটের আকারের বৃদ্ধি অনেক দ্রুত হয়েছে ।

*এই প্রতিবেদনে কিছু সংখ্যা রাউন্ড অফ করা হয়েছে ।

নয়াদিল্লি, 15 জুলাই: আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করতে চলেছেন । এবার 2024-25 আর্থিক বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন তিনি ৷ লোকসভা নির্বাচনের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে মোদি সরকারের তরফে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল ৷ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কেন্দ্রীয় বাজেটের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ 2019-20 অর্থবর্ষে প্রায় 27 লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছিল ৷ চলতি আর্থিক বছরের শেষের দিকে তা পৌঁছাতে পারে 47.66 লক্ষ কোটি টাকায় ৷ ফলে মাত্র পাঁচ বছরে 76 শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বাজেট বরাদ্দ ।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী 2024-25-এর অন্তর্বর্তী বাজেটে যে তথ্য তুলে ধরেছিলেন, সেই তথ্য অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে এই আর্থিক বছরে দেশের মোট নামমাত্র জিডিপির 15 শতাংশ আসতে পারে ৷ যার পরিমাণ হতে পারে 327 লক্ষ কোটি টাকা ৷

বাজেটের তথ্য ইটিভি ভারত বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে চক্রবৃদ্ধি হারে কেন্দ্রীয় বাজেটের বার্ষিক বৃদ্ধির হার পাঁচ বছরের সময়কালে দেশের নামমাত্র জিডিপি বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি । সংবিধানের 112 অনুচ্ছেদের অধীনে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি আর্থিক বছরের জন্য তার আনুমানিক প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের একটি বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সংসদে উপস্থাপন করে, যা সাধারণত কেন্দ্রীয় বাজেট হিসাবে উল্লেখ করা হয় ।

তাহলে সরকার এত বড় তহবিলের ব্যবস্থা করে কিভাবে: এত বড় বাজেটের জন্য তিনটি প্রধান উৎস রয়েছে । এগুলি হল সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তি (কর রাজস্ব এবং কর-বহির্ভূত রাজস্ব) এবং মূলধন প্রাপ্তি (ঋণ গ্রহণ ও পুনরুদ্ধার), যা সরকার তার সামগ্রিক বাজেট ব্যয় ও রাজস্ব সংগ্রহের ঘাটতি পূরণের জন্য মূলত ধার করে ।

রাজস্ব প্রাপ্তি: সরকারের রাজস্ব পাওয়ার বিষয়টিকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৷ একটি হল কর থেকে আসা রাজস্ব, যা মূলত আয়কর থেকে পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ, কর্পোরেট ট্যাক্স, শুল্ক, আবগারি শুল্ক এবং জিএসটি-সহ আরও কিছু কর ৷ দ্বিতীয়টি হল কর-বহির্ভূত রাজস্ব প্রাপ্তি, এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও ব্যাংকগুলি থেকে আসা লভ্যাংশ ও মুনাফা ৷

কর থেকে আসা রাজস্ব: সরকারের সংগৃহীত অর্থের তিনটি উৎসের মধ্যে কর থেকে আসা রাজস্বই সবচেয়ে বড় । 2019-20 অর্থবর্ষে কেন্দ্রের রাজস্বের পরিমাণ ছিল 13.57 লক্ষ কোটি টাকা, যা সেই বছরের 26.86 লক্ষ কোটি টাকার মোট বাজেটের 50.5 শতাংশ ছিল । তাই কর থেকে আসা রাজস্ব সেই বছর সরকারের মোট প্রাপ্তির অর্ধেকেরও বেশি ছিল ।

যাইহোক, এই বছর কর থেকে আসা রাজস্ব 26 লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে । পাঁচ বছরে এটি প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে । কেন্দ্রীয় সরকারের মোট প্রাপ্তির হিসেবে, তা প্রায় 55 শতাংশ হবে৷ প্রবণতা থেকে স্পষ্ট যে পাঁচ বছরে সরকারের সামগ্রিক প্রাপ্তি ও ব্যয়ে করের অংশ 50.5 শতাংশ থেকে প্রায় 55 শতাংশে উন্নীত হয়েছে ।

কর বহির্ভূত রাজস্ব: কেন্দ্রের কর বহির্ভূত রাজস্ব প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে সুদ থেকে আসা টাকা, লভ্যাংশ ও মুনাফা ৷ অন্যান্য কর-বহির্ভূত রাজস্ব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রাপ্তি । 2019-20 আর্থিক বছরে কর-বহির্ভূত রাজস্ব ছিল 3.27 লক্ষ কোটি টাকা ৷ বর্তমান আর্থিক বছরে এর পরিমাণ 3.99 লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ যা বছরের মোট বাজেটের 8 শতাংশের সামান্য বেশি ।

মূলধন প্রাপ্তি: মূলধন প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে ব্যয় মেটানোর জন্য একটি আর্থিক বছরে নেওয়া সরকারের ঋণ ৷ সরকার কর্তৃক আগে দেওয়া ঋণের পুনরুদ্ধার এবং অন্যান্য প্রাপ্তিগুলিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে । উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, 2019-20 অর্থবর্ষে 10 লক্ষ কোটি টাকার মোট মূলধন প্রাপ্তির মধ্যে ছিল 9.33 লক্ষ কোটি টাকার ঋণ ৷ বাকি টাকা এসেছিল অন্যান্য প্রাপ্তি ও ঋণের পুনরুদ্ধার থেকে ৷ যার পরিমাণ কম ছিল । সেই বছর মূলধন প্রাপ্তি 7 শতাংশেরও বেশি ।

চলতি আর্থিক বছরে 47.66 লক্ষ কোটি টাকার বাজেটের প্রেক্ষিতে 17.64 লক্ষ কোটি টাকা মূলধন প্রাপ্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এর মধ্যে সরকারের ঋণের পরিমাণ 16.85 লক্ষ কোটি টাকা ৷ নতুন ঋণ, যা মূলধন প্রাপ্তির (মোট মূলধন প্রাপ্তির 95.5 শতাংশ) বেশিরভাগ ভাগ অংশ পূরণ করবে, তা এই বছরে সরকারের মোট প্রাপ্তির 35 শতাংশের বেশি হবে ৷ কর থেকে আসা রাজস্বের পরিমাণ মোট প্রাপ্তির 55 শতাংশ হতে পারে ৷ ফলে ঋণ সরকারি তহবিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হতে পারে ৷

কয়েক বছর ধরে বৃদ্ধির প্রবণতা: মাত্র পাঁচ বছরে, 2019-20 থেকে 2024-25 অর্থবর্ষ, এই পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় সংক্রান্ত বাজেট প্রায় 27 লক্ষ কোটি থেকে বেড়ে 48 লক্ষ কোটি টাকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

কেন্দ্রীয় বাজেট গত পাঁচ বছরে 12 শতাংশের বেশি চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । যদি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট করা ব্যয় পরবর্তী আর্থিক বছরেও একই হারে বৃদ্ধি পায়, তাহলে 2025-26 আর্থিক বছরে (ছয় বছরে) কেন্দ্রীয় বাজেটের আকার দ্বিগুণ হয়ে 26.86 লক্ষ কোটি টাকা থেকে 54 লক্ষ কোটি টাকা হবে । প্রতি বছর প্রায় 12.25 শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে হবে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ।

এটা তাৎপর্যপূর্ণ ৷ কারণ এই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ভারতের জিডিপি 2019-20 আর্থিক বছরে 204 লক্ষ কোটি টাকা থেকে 2024-25 আর্থিক বছরে 327 লক্ষ কোটি টাকা হবে ৷ এই বৃদ্ধি 9.9 শতাংশের চক্রবৃদ্ধি হারে হবে বলে আশা করা হচ্ছে ।এর অর্থ হল এই সময়ের মধ্যে দেশের নামমাত্র জিডিপি বৃদ্ধির হারের তুলনায় কেন্দ্রীয় বাজেটের আকারের বৃদ্ধি অনেক দ্রুত হয়েছে ।

*এই প্রতিবেদনে কিছু সংখ্যা রাউন্ড অফ করা হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.