নয়াদিল্লি, 5 সেপ্টেম্বর: সকাল-বিকেলের চায়ের আড্ডায় তুফান তুলতে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার ! সাহিত্য থেকে দর্শন, রাজনীতি থেকে দুর্নীতি-- যে কোনও বিষয়ে বাঙালি অনর্গল চর্চা, আলোচনা বা সমালোচনা চালিয়ে যেতে পারে শুধু ধোঁয়া ওঠা চায়ের জোগান নিয়মিত পেলে ৷
আপনিও যদি চা পানের বিষয়ে একটু শৌখিন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এই খবরটা মোটেই ভালো নয় । কারণ, বাড়তে চলেছে প্যাকেটজাত চায়ের দাম ৷ জেনে নিন ঠিক কী কী কারণে দাম বাড়ছে চায়ের ।
শুধু বাঙালি নয়, চায়ের প্রতি দুর্বলতা এ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী অসংখ্য মানুষের রয়েছে । তাই প্যাকেটজাত চায়ের দাম বৃদ্ধির খবরে মন খারাপ হতে পারে তাঁদেরও ৷ দেশে প্যাকেটজাত চায়ের দাম বিক্রয়কারী দুটি বড় সংস্থা, অর্থাৎ হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড (HUL) এবং টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড (TCPL) শীঘ্রই চায়ের দাম বাড়াতে চলেছে। বিজনেস টুডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চায়ের মজুদ কমে যাওয়ার পাশাপাশি এর দাম বৃদ্ধির কারণে প্যাকেটজাত চায়ের দামও প্রভাবিত হতে পারে এবং শীঘ্রই বাকি বড় সংস্থাগুলিও এর দাম বাড়াতে পারে। বাজারে উপলব্ধ চায়ের দামের ওপর এর সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে ।
উল্লেখিত প্রতিবেদনে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড-এর মুখপাত্র স্বীকার করেছেন যে, এই মরসুমে চায়ের দাম বেড়েছে এবং এর সরাসরি প্রভাব চায়ের ক্রয় মূল্যের উপর পড়বে । কোম্পানী তার গ্রাহক এবং তাদের চা-প্রেম, উভয় সম্পর্কেই ভাবনা চিন্তা করবে ৷ যদিও, প্যাকেটজাত চায়ের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, এফএমসিজি সংস্থা টাটা কনজিউমার এবং হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, তাদের আয়ের একটি বড় অংশ প্যাকেটজাত চায়ের বিক্রির মাধ্যমেই আসে । পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড-এর আয়ের 25 শতাংশ এবং টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস তার পানীয় ব্যবসার 58 শতাংশ প্যাকেটজাত চায়ের উপর নির্ভরশীল । তবে এই দুটি সংস্থাই তাদের চা থেকে মোট আয়ের বিষয়টি আলাদা করে প্রকাশ করে না।