বেতুল (গোয়া), 7 ফেব্রুয়ারি: ডিজেলে প্রতি লিটারে প্রায় 3 টাকার কাছাকাছি লোকসান হচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন জ্বালানি সংস্থাগুলির ৷ পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে পেট্রোল বিক্রিতেও লাভ কমছে ৷ এরপরেও দেশীয় বাজারে তেলের দাম না বাড়ানোর কারণগুলি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছে তেল বিক্রেতা কোম্পানিগুলি।
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচপিসিএল) ভারতের জ্বালানি বাজারের প্রায় 90 শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে ৷ তারা স্বেচ্ছায় পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের (এলপিজি) দাম পরিবর্তন করেনি ৷ প্রায় দুই বছর ধরে এই দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৷ কাঁচামালের দাম কম হলেও ইনপুট খরচ বেড়েছে ৷ এর ফলে লোকসান হচ্ছে তেল কোম্পানিগুলির।
আন্তর্জাতিক তেলের দামের নিরিখে দেশে তেলের দাম নির্ধারিত হয় ৷ ভারত তেলের চাহিদা মেটাতে আমদানির উপর 85 শতাংশ নির্ভরশীল ৷ গত বছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছিল ৷ কিন্তু জানুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে আবার দাম বেড়েছে । একদিন দাম বাড়ছে এবং অন্য দিন কমছে ৷ এর ফলে আগে যে ক্ষতি হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে কাটিয়ে উঠতে পারেনি তেল কোম্পানিগুলি ।
একজন শিল্প কর্মকর্তা বলেন,"ডিজেল বিক্রিতে লোকসান হচ্ছে । এখন তেল কোম্পানিগুলি প্রতি লিটারে 3 টাকার কাছাকাছি লোকসান করছে । পেট্রোলেও লাভের পরিমাণ কম ৷ এক্ষেত্রেও প্রতি লিটারে প্রায় 3-4 টাকা লোকসান হচ্ছে ।"
তেলের দাম পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি ইন্ডিয়া এনার্জি সপ্তাহের মাঝে সাংবাদিকদের বলেন, "সরকার তেলের দাম নির্ধারণ করে না এবং তেল কোম্পানিগুলি সমস্ত অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় । তারা এখনও দাম বাড়তে আগ্রহী না ৷" চলতি অর্থবছরের প্রথম 9 মাসে তিনটি সংস্থার 69 হাজার কোটি টাকার মুনাফা করেছে ৷ সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "চলতি অর্থবছরের শেষে 31 মার্চ পর্যন্ত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দাম সংশোধন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে । তারা যখন স্বেচ্ছায় দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল (তেলের দাম বাড়তে থাকা সত্ত্বেও) তখন তাদের লোকসান হয়েছিল ৷"
আরও পড়ুন: