শিলিগুড়ি, 26 অগস্ট: ভাঙাচোরা বা রেলের স্ক্র্যাপ বিক্রি করে রেকর্ড আয় হল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের। গত 30 বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চলতি 2023-'24 আর্থিক বর্ষে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আয় হয়েছে 202 কোটি 80 লক্ষ টাকা। এই আয় গত অর্থবর্ষের এই সময়কালের তুলনায় 34.65 শতাংশ বেশি । 2022-'23 আর্থিক বর্ষে একইভাবে রেলের লোহার জঞ্জাল বা স্ক্র্যাপ বিক্রি করে আয় হয়েছিল 186 কোটি 34 লক্ষ টাকা । শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি !
এই বিপুল পরিমাণ আয় আগামীতে যাত্রী পরিষেবা আরও বেশি উন্নত করতে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন রেল আধিকারিকরা। মূলত, ভারতীয় রেল 'জিরো স্ক্র্যাপ মিশন'-এর উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থাৎ বর্জ্যমুক্ত রেল বিভাগ। আর সেই উদ্যোগে বাজিমাত করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকের কথায় রেলের বর্জ্য অনেক জায়গা নষ্ট করে। আর এইসব বর্জ্য বিক্রি করার সময় আবার অনেক এমন অংশ বা বেরিয়ে আসে যা পুনরায় ব্যবহার করা যায়। সেগুলিও, যাচাই করা হয়ে থাকে। বছরের শেষে একটা বড় অঙ্কের টাকা রেলের আয় হয় যা রেলের উন্নয়নে ব্যবহার করা যেতে পারে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মার বলেন, "জিরো স্ক্র্যাপ মিশন অভিযানের মধ্যে দিয়ে শুধু যে অর্থ আয় হয়েছে, তা নয়। রেলের অধিকাংশ এলাকা পরিচ্ছন্ন হওয়ার পাশাপাশি বর্জ্য রাখার নতুন জায়গাও তৈরি হয়েছে। আর এই আয় বিভিন্ন রেল স্টেশন, বিভাগ ও যাত্রী পরিষেবা উন্নত করতে কাজে লাগানো হবে।"
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 2022-'23 আর্থিক বছরে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল 26 হাজার 250 মেট্রিক টন রেলের বর্জ্য, লাইন বিক্রি করেছে। আর 14 হাজার মেট্রিক টন অন্যান্য বর্জ্য বিক্রি করেছে। এছাড়াও, এনএফ রেল কর্তৃপক্ষ চারটে ডিজেল লোকোমোটিভ, 124টি পুরনো বাতিল কামরা, 163টি ওয়াগন বিক্রি করেছে। এবার, 2023-'24 অর্থ বর্ষে স্ক্র্যাপ বিক্রি করা হয়েছে 23 হাজার 628 মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন ধরনের ফেলে দেওয়া লোহার সামগ্রী, লাইন বিক্রি করা হয়েছে 19 হাজার ,192 মেট্রিক টন। এছাড়া জরাজীর্ণ 26 টি ডিজেল লোকোমেটিভ, 247টি কোচ এবং 284টি ওয়াগন বিক্রি করে, যা টাকার অঙ্কে 202 কোটি 80 লক্ষ । চলতি, অর্থবর্ষে জুলাই মাস পর্যন্ত 41 কোটি 58 লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। এবার প্রায় 280 কোটির লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ।