নয়াদিল্লি, 5 সেপ্টেম্বর: ভারতের জন্য স্বস্তির খবর! আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি 70 ডলারের নিচে নেমে গিয়েছে। এটি 2023 সালের ডিসেম্বর থেকে গত নয় মাসে অপরিশোধিত তেলের দামের সর্বনিম্ন স্তর। ডব্লিউটিআই ক্রুড ব্যারেল প্রতি 70 ডলারের নিচে ব্যারেল প্রতি 69.68 ডলারে লেনদেন করছে ৷ পাশাপাশি, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ব্যারেল প্রতি 73 ডলারে লেনদেন করছে। ভারত তার প্রয়োজনীয় অপরিশোধিত তেলের 80 শতাংশের বেশি আমদানি করে।
কেন কমল অপরিশোধিত তেলের দাম?
অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের দামে এই পতন দেখা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । বিশেষ করে চিনের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাহিদা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, লিবিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল রফতানি শুরু হওয়ার প্রত্যাশার কারণেও অপরিশোধিত তেলের দামের এই পতন ঘটেছে। লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মধ্যে বিরোধের পর সেখানকার তেলক্ষেত্রগুলি বন্ধ করে দেয়া হয় এবং রফতানি টার্মিনালগুলিও বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর নিয়োগ নিয়ে চুক্তির পর এই বিরোধ মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হ য়েছে ৷ এর ফলে তেল সরবরাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ওপেক দেশগুলি অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
তেল কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে লাভবান হবে!
অপরিশোধিত তেলের দামে ব্যাপক পতনের ফলে সরকারি তেল কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। তারা কম দামে অপরিশোধিত তেল পাবে। কিন্তু, উপভোক্তারা এতে লাভবান হবেন কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে, সরকারি তেল কোম্পানিগুলি চলতি আর্থিক বছরের 2024-25 এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শক্তিশালী মুনাফা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে উপভোক্তারা কিছু পাবেন কিনা বলা মুশকিল।
মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তির আশা!
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিশোধিত তেলের দামের এই পতন দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর চাপ বাড়তে পারে সরকারের ওপর। বিশেষ করে ডিজেলের দাম কমানোর চাপ বাড়তে পারে, যার প্রভাবে পণ্যপরিবহণ সস্তা হতে পারে। এটি খাদ্যদ্রব্যের দামের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার সুদের হার কমানোর পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম হ্রাস মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে, যা সুদের হার কমানোর পথ প্রশস্ত করতে পারে।