কলকাতা, 16 এপ্রিল: ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরাতে তৎপর হল নবান্ন। এই মর্মে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার সঙ্গে কথা বললেন এ রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ৷
প্রসঙ্গত, ওড়িশার জাজপুর থেকে হলদিয়াগামী বাস সোমবার রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজন যাত্রীর মৃত্যুর খবর এসেছে। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও রয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের চার বাসিন্দার এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর মিলেছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ওই বাসে 32 জন এ রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। যার মধ্যে 20 জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে 12 জনের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই টেলিফোন মারফৎ খোঁজ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকাকে গোটা বিষয়টি নজরদারির জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। যেহেতু এই মুহূর্তে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু, তাই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কোনও ঘোষণা করতে পারবেন না বলেই প্রশাসনের তরফে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে খবর। তবে আহত, নিহত এবং উদ্বিগ্ন পরিবারের মধ্যে সংযোগ রক্ষায় যাতে কোনও ধরনের অসুবিধা না হয়, তা দেখার জন্য প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় আহতদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যেই বাস পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। এছাড়া আশঙ্কার মধ্যে থাকা আত্মীয়দের যোগাযোগের জন্য ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর 03322143524। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনায় মৃতদের সনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
OD/02DJ8599 নম্বরের যে বাসটি গতকাল রাতে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল সেটি মূলত ছিল হলদিয়া-পুরী রুটের বাস। বাসের মালিকের নাম সুবোধ ভূঁইয়া। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ভূপতিনগরের উত্তম মাইতি, এগরার বাসিন্দা অচিন্ত্য মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বর্ণালী বেরাদাস এবং চণ্ডীপুরের বাসিন্দা মনোজ ঘোষের। পুলিশ অনুমান করছে এই ঘটনায় মৃত পঞ্চম ব্যক্তিও পশ্চিমবঙ্গের হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত তাকে সনাক্ত করা যায়নি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এই দুর্ঘটনা নিয়ে ওড়িশার মুখ্যসচিব পিকে জেনার সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আহতদের এ রাজ্যে নিয়ে আসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে বলে খবর। মোটের উপর গতকাল রাতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে এই মুহূর্তে সরকার চাইছে দুর্গত পরিবারগুলি পাশেই থাকতে।
আরও পড়ুন: