এটাহ, 7 এপ্রিল: সম্মান রক্ষার আছিলায় ফের খুনের ঘটনা ঘটল যোগী-রাজ্যে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলার নয়াগাঁও এলাকায় বাবার বিরুদ্ধে তার মেয়েকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ৷ এই খুনে বাবার সঙ্গে তার ছেলেও সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ ৷ এই খুন সম্মান রক্ষার্থে হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ৷
পুলিশের এক উচ্চাধিকারিক জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে খুন করার পর বাবা ও ছেলে তার দেহ একটি খোলা মাঠে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করে ৷ ওই পুলিশ আধিকারিকের কথায়, "আমরা গোপন সূত্রে খবর পাই ৷ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই ৷ সঙ্গে সঙ্গে জ্বলতে থাকা চিতার আগুন থেকে ওই দেহটিকে উদ্ধার করি ৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ওই ঘটনার পর বাবা ও ছেলে দু'জনেই পালিয়ে গিয়েছে ৷ আমরা দু'জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি ৷ মেয়েটি একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল ৷ তা নিয়ে বাড়িতে অশান্তি হয় ৷ তারপরই রেগে গিয়ে মেয়েটিকে তার বাবা ও ভাই মিলে খুন করে ৷"
এএসপি ধনঞ্জয় সিং জানান, মৃত ওই মেয়েটি নয়াগাঁও থানা একালায় থাকতেন ৷ তাঁর সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ এএসপি আরও বলেন, "বাড়ির লোকজন ওই সম্পর্কটি মেনে নেননি ৷ শনিবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে একটা অশান্তিও হয় ৷ এরপরই বাবা তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটিকে খুন করে ৷ মেয়েটির পেটে গুলি লাগে ৷ পরিবার মেয়েটিকে আলিগঞ্জের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় ৷ সেখানে মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করা হয় ৷"
এরপরই ওই পরিবার গোপনে মেয়েকে দাহ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও করে ৷ এই প্রসঙ্গে ধনঞ্জয় সিং বলেন, "এরপর, পরিবারের সদস্যরা কাউকে কিছু না-জানিয়ে মেয়েটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করার বন্দোবস্ত করে ৷ তারা নিজেরাই একটি মাঠে দেহ দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এসে চিতায় আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ এদিকে এর মধ্যে কেউ একজন পুলিশকে খবর দিয়ে দিয়েছিল ৷ খবর পেয়ে নয়াগাঁও থানার ইন-চার্জ রীতেশ ঠাকুর পুলিশের একটি বিশেষ দলকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৷ তিনি জ্বলন্ত চিতা থেকে দেহটিকে তুলে বাইরে নিয়ে আসেন ৷ যদিও পুলিশ শুধু মাথা এবং কঙ্কালটুকু উদ্ধার করতে পেরেছে ৷ সেই উদ্ধার হওয়া অংশই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷" রীতেশ ঠাকুর জানিয়েছেন, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে ৷
আরও পড়ুন: