কান্ধমাল, 4 ফেব্রুয়ারি: ওড়িশার কান্ধামালে গুলি করে হত্যা করা হল শীর্ষ এক মাওবাদী নেতাকে ৷ শনিবার রাতে বালিগুড়ার কাকেরপুয়া এলাকায় মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র গুলিবিনিময়ে খতম করা হয়েছে দাসরু নামে মাওবাদী নেতাকে ৷ দাসরু কেকেবিএন বিভাগের ডিসিএম সদস্য ছিল । জেলা স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর (ডিভিএফ) একজন জওয়ানও এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৷ তাঁর অবস্থা আশংকাজনক ৷ ওই ডিভিএফ জওয়ানের নাম জিতেন্দ্র নাহক ।
শনিবার সন্ধ্যায় কাকেরপুয়া জঙ্গল এলাকায় কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর মেলে ৷ সেই খবর পেয়েই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন নিরাপত্তা রক্ষীরা ৷ তাঁদের দেখতে পেয়ে জঙ্গলের আড়াল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা ৷ পালটা গুলি চালান নিরাপত্তা কর্মীরা ৷ শুরু হয় তীব্র গুলির লড়াই ৷ দীর্ঘক্ষণ এনকাউন্টারের পর মাওবাদীরা পালিয়ে গেলে ফের তল্লাশি অভিযান চালান নিরাপত্তা কর্মীরা ৷ তখনই উদ্ধার করা হয় শীর্ষ মাওবাদী নেতা দাসরুর মৃতদেহ । ওই এলাকা থেকে একটি 333 রাইফেল এবং কিছু মাও সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, দাসরু ছত্তীশগড়ের বাসিন্দা ৷ তাঁর মাথার দাম 5 লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল । অনেক বেসামরিক হত্যা, নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ছিল দাসরু । কান্ধমাল ও বৌধ জেলায় 20টিরও বেশি মামলায় সে ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল ৷
মাওবাদী ডেভিডের পর কেকেবিএনের জেলা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেন দাসরু । সে ছত্তীশগড় পুলিশের পাশাপাশি অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাতেও ছিল । কেকেবিএন মাওবাদী সংগঠন (কোরাপুট, কান্ধমাল, বৌধ, নয়াগড়) বিভাগ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছিল । 2017 সালে কেকেবিএন মাওবাদী সংগঠনের প্রধান জাম্পানা এবং তাঁর স্ত্রী আত্মসমর্পণ করেন । পরবর্তীতে, এই সংগঠনের প্রধান ছিলেন ডেভিড যিনি 2018 সালে মাও বিরোধী অভিযানে নিহত হন । দাসরু কেকেবিএন-এর জেলা কমান্ডো সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেয় । সে কান্ধমাল অঞ্চলে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল । ফলে তাকে নিকেশ করতে পারাটা নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন শীর্ষ স্থানীয় কর্তারা ৷
আরও পড়ুন: