ETV Bharat / bharat

দেনা মেটাতে একাধিক ব্যাঙ্কের চাপ ! বিষ খেয়ে মৃত্যু একই পরিবারের 3 সদস্যের

একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন কর্তা ৷ বকেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল ব্যাঙ্কগুলি ৷ সেই চাপেই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিল পরিবার? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

Family Attempt Suicide after consuming poison
একই পরিবারের পাঁচ সদস্য বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা (প্রতীকী ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

বাঁকা, 16 নভেম্বর: বিষ খেয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন সদস্যের ৷ বাকি দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বাঁকা জেলার অমরপুর থানা এলাকার বালুয়া গ্রামে ৷ ঝণ-সমস্য়ায় জর্জরিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের ঘণিষ্ঠদের অনুমান, আর্থিক অনটনের জন্যই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঁচ জন ৷

শনিবার ভোররাতে পরিবারের কর্তা কানহাইয়া মহতো (40) এবং তাঁর স্ত্রী গীতা দেবী (35) এবং তাঁদের এক সন্তান ধীরাজ কুমারের (12) চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ৷ বাকি দুই সন্তান সবিতা কুমারী (16) ও রাকেশ কুমারের (8) অবস্থা সঙ্কটজনক ৷ ভাগলপুরে জওহরলাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে ৷

কানহাইয়া মহতো পেশায় অটো চালক ছিলেন ৷ তিনি পরিবারের আর্থিক দুর্দশা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ সম্ভবত সেই কারণেই এমন চরম পন্থা বেছে নিয়েছিলেন ৷ ভাগলপুরের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "তাঁরা একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ৷ সেই পাওনা টাকা আদায়ে বারংবার ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা তাঁদের বাড়ি আসছিলেন ৷ সুতরাং, দেনার চাপে পরিবারটি এই রকম কাণ্ড করে বসে ৷"

মৃতের মেয়ে সবিতা কুমারী বলেন, "আমার বাবার অনেক টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল ৷ বকেয়া টাকা চেয়ে ব্যাঙ্কগুলি আমাদের লাগাতার তাগাদা দিচ্ছিল, হয়রান করছিল ৷ আমার বাবা-মা বলছিলেন পরিবারের নামে বদনাম রটে গিয়েছে ৷ আমরা আর বাঁচতে চাই না ৷ প্রথমে আমার দুই ভাই, তারপর আমায় এবং সবশেষে বাবা-মা একটি ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেন ৷ ওই ট্যাবলেট সবজিতে দেওয়া হয় ৷ আমার ছোট ভাই রাকেশ ট্যাবলেটটি মুখে নিয়ে পরে ফেলে দেয় ৷"

কানহাইয়া মহতোর বউদি বীণা দেবী বলেন, "দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে আমার দেওর, তাঁর বউ এবং তাঁদের সন্তানেরা বিষ খেয়ে ফেলেন ৷ আমার ছোট দেওর আমায় খবর দেয় ৷ তারপর আমরা সবাই মিলে ওদের অমরপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে তাঁরা শুক্রবার রাতে সালফার ট্যাবলেট খেয়েছিলেন ৷ মধ্যরাতের পর তাঁদের সবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে তাকে ৷ রাত 2.30 মিনিট নাগাদ কানহাইয়ার ছোট ভাই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷

অমরপুর থানার পুলিশ আধিকারিক পঙ্কজ কুমার ঝা বলেন, "এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠাই ৷ ওই দলের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অমরপুর রেফারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখান থেকে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁদের ভাগলপুর হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ রাস্তাতেই পরিবারের স্বামীর মৃত্যু হয় ৷ কিছুক্ষণ পর স্ত্রীরও মৃত্যু হয় ৷ আরও পরে প্রাণ যায় এক সন্তানেরও।"

বাঁকা, 16 নভেম্বর: বিষ খেয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন সদস্যের ৷ বাকি দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বাঁকা জেলার অমরপুর থানা এলাকার বালুয়া গ্রামে ৷ ঝণ-সমস্য়ায় জর্জরিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের ঘণিষ্ঠদের অনুমান, আর্থিক অনটনের জন্যই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঁচ জন ৷

শনিবার ভোররাতে পরিবারের কর্তা কানহাইয়া মহতো (40) এবং তাঁর স্ত্রী গীতা দেবী (35) এবং তাঁদের এক সন্তান ধীরাজ কুমারের (12) চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ৷ বাকি দুই সন্তান সবিতা কুমারী (16) ও রাকেশ কুমারের (8) অবস্থা সঙ্কটজনক ৷ ভাগলপুরে জওহরলাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে ৷

কানহাইয়া মহতো পেশায় অটো চালক ছিলেন ৷ তিনি পরিবারের আর্থিক দুর্দশা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ সম্ভবত সেই কারণেই এমন চরম পন্থা বেছে নিয়েছিলেন ৷ ভাগলপুরের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "তাঁরা একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ৷ সেই পাওনা টাকা আদায়ে বারংবার ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা তাঁদের বাড়ি আসছিলেন ৷ সুতরাং, দেনার চাপে পরিবারটি এই রকম কাণ্ড করে বসে ৷"

মৃতের মেয়ে সবিতা কুমারী বলেন, "আমার বাবার অনেক টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল ৷ বকেয়া টাকা চেয়ে ব্যাঙ্কগুলি আমাদের লাগাতার তাগাদা দিচ্ছিল, হয়রান করছিল ৷ আমার বাবা-মা বলছিলেন পরিবারের নামে বদনাম রটে গিয়েছে ৷ আমরা আর বাঁচতে চাই না ৷ প্রথমে আমার দুই ভাই, তারপর আমায় এবং সবশেষে বাবা-মা একটি ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেন ৷ ওই ট্যাবলেট সবজিতে দেওয়া হয় ৷ আমার ছোট ভাই রাকেশ ট্যাবলেটটি মুখে নিয়ে পরে ফেলে দেয় ৷"

কানহাইয়া মহতোর বউদি বীণা দেবী বলেন, "দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে আমার দেওর, তাঁর বউ এবং তাঁদের সন্তানেরা বিষ খেয়ে ফেলেন ৷ আমার ছোট দেওর আমায় খবর দেয় ৷ তারপর আমরা সবাই মিলে ওদের অমরপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে তাঁরা শুক্রবার রাতে সালফার ট্যাবলেট খেয়েছিলেন ৷ মধ্যরাতের পর তাঁদের সবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে তাকে ৷ রাত 2.30 মিনিট নাগাদ কানহাইয়ার ছোট ভাই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷

অমরপুর থানার পুলিশ আধিকারিক পঙ্কজ কুমার ঝা বলেন, "এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠাই ৷ ওই দলের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অমরপুর রেফারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখান থেকে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁদের ভাগলপুর হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ রাস্তাতেই পরিবারের স্বামীর মৃত্যু হয় ৷ কিছুক্ষণ পর স্ত্রীরও মৃত্যু হয় ৷ আরও পরে প্রাণ যায় এক সন্তানেরও।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.