রামনগর (উত্তরাখণ্ড), 6 সেপ্টেম্বর: ভাইকে বাঁচাতে চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই করল দাদা ৷ দু'জনেই নাবালক ৷ তবে সাহসের জন্য দাদাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে ৷ কোনও সিনেমার সিন নয় ! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে রামনগরের চোরপানি গ্রামের পাশে সতী কলোনির পাশের বাগানে ৷ সেখানে সন্ধ্যার সময় 9 বছর বয়সি বালকের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় এক চিতাবাঘ ৷ ভাইয়ের উপর হামলা দেখে বাড়িতে উপস্থিত 12 বছর বয়সি দাদা লাঠি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৷ তারপর চিতাবাঘের মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত করে সে ৷ তাতেই পালিয়ে যায় হিংস্র শিকারি, যার কারণে বেঁচে যায় তার ভাই ৷ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কিশোরের সাহসিকতার প্রশংসা শুরু হয়েছে চারদিকে ।
চিতাবাঘের হামলায় আহত 9 বছর বয়সী জয়বীরের পরিবার চোরপানি বাড়ির কাছে কিছু কাজে গিয়েছিল ৷ জয়বীর এবং তার বড় ভাই দেবকুমার তখন বাড়িতে ছিল । দেব জানায়, তার ছোট ভাই যখন ঘরের বাইরে লাইট জ্বালাতে তার কুঁড়েঘরে পৌঁছয়, তখন কুঁড়েঘরের বাইরে খাটের নিচে বাঁধা তার পোষা কুকুরটির উপর হামলা চালায় চিতাবাঘটি । আওয়াজ শুনে জয়বীর বাঁচানোর জন্য গেলে কুকুরটিকে ছেড়ে তার উপর হামলা করে চিতাবাঘটি ৷ জয়বীর ডাকতেই দেব ছুটে গিয়ে দেখে তার ভাইয়ের পা কামড়ে ধরে আছে চিতাবাঘটি ৷
সেই সময় দেব সাহস দেখিয়ে ঘরের ভেতর থেকে একটি লাঠি এনে চিতাবাঘটির মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত করে । তাতেই তার ভাইকে ছেড়ে বাগানের দিকে দৌড়ে পালায় জংলি পশু ৷ এরপর ভাইকে নিয়ে কাকিমার কাছে চলে যায় সে ৷ তবে তারপরেও কুকুরটির খোঁজে ফের বাড়িতে আসে চিতাবাঘ ৷ ততক্ষণে দেবের বাবা বাড়ি চলে আসায় লাঠি নিয়ে ফের চিতাবাঘটিকে মারতে উদ্যত হতে সেটিও বাগানের দিকে পালিয়ে যায় ৷
এরপর আহত জয়বীরকে চিকিৎসার জন্য রামনগরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । যেখানে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর জয়বীরকে ছেড়ে দেন । ঘটনার পর চিতাবাঘ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গ্রামবাসীর মধ্যে ৷ এই আতঙ্ক থেকে রেহাই পেতে বন দফতরের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন মানুষ । এদিকে বুদ্ধির সঙ্গে চিতাবাঘকে তাড়িয়ে ভাইয়ের জীবন বাঁচানোয় প্রশংসিত হচ্ছে দেব ৷