নয়াদিল্লি, 29 এপ্রিল: একই দিনে শীর্ষ আদালতে পর পর দু'বার ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৷ সন্দেশখালির পর এবার রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট ৷ একই সঙ্গে এসএসসি মামলায় কোনও সরকারি শীর্ষ আধিকারীকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না বলেও সাফ জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত ৷ তবে এসএসসি-র 2016 সালের প্যানেল বাতিলের যে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট তাই সোমবার বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷
একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রডূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই যে তদন্ত চলছে তার উপর কোনও স্থগিত দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে 2016 সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেলকে বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট ৷ শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মীদের সমস্ত নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এরপরই সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ৷ সেই মামলার শুনানি হয় এদিন ৷ এরপর পরবর্তী শুনানির জন্য 6 মে দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এদিন শুনানি হয় ৷ সেখানেই এদিন এসসি এবং রাজ্য সরকারে নিয়োগ বাতিল করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশকে স্থগিত করার আর্জি জানিয়েছিলেন ৷ সেই আর্জি অবশ্য এদিন প্রত্যাখ্যান করেছে শীর্ষ আদালত ৷ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পর্যবেক্ষণে বলেন, "এটা কীভাবে করা হয়েছে ! ওএমআর শিট সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, মিরর ইমেজ নেই, প্যানেলে নেই এমনভাবে লোক নিয়োগ করা হয়েছে ! এটি একটি সম্পূর্ণ জালিয়াতি ৷" প্রধান বিচারপতি জানতে চান, যে ওএমআর শিটগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেই অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলি আলাদা করা সম্ভব কিনা। এরপরই প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, "আপনাদের সকলের জন্য বলা হচ্ছে, কিসের ভিত্তিতে কোথায় বৈধ এবং অবৈধ নিয়োগকে আলাদা করা সম্ভব এবং কারা জালিয়াতির সুবিধাভোগী তা জানাতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, পুরো জিনিসটি জালিয়াতিতে পরিপূর্ণ ৷"
আরও পড়ুন
কয়েকজনের ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষায় কেন পিটিশন রাজ্যের ? সন্দেশখালি মামলায় বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট