নয়াদিল্লি, 9 অগস্ট: দীর্ঘ সাড়ে 17 মাস পর দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ শুক্রবার সকালে জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি ৷ আম আদমি পার্টির জন্য বড় স্বস্তি ৷ তবে তাঁকে শীর্ষ আদালতের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে ৷ 6 অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ এই মামলায় চূড়ান্ত রায়দান স্থগিত রেখেছিল ৷ তবে দ্রুত আপ নেতার বিরুদ্ধে মামলার ট্রায়াল শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷
এদিন জামিনের মামলার শুনানিতে নিম্ন আদালতের দীর্ঘসূত্রিতাকে ভর্ৎসনা করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন ৷ তাঁরা বলেন, "আম আদমি পার্টির নেতার 'দ্রুত বিচার' পাওয়া দরকার ৷ বিচারের নামে তাঁকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা আইন বিরুদ্ধ ৷" বিচারপতি গাভাই বলেন, "ইতিমধ্যে 18 মাস কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করেছেন ৷ এখনও বিচার শুরু হয়নি ৷ আবেদনকারী তাঁর দ্রুত বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ৷ ট্রায়াল কোর্ট এবং হাইকোর্টের এই বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল ৷" দিল্লি আবগারি মামলায় অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়াকে জামিন না দেওয়ার অর্থ তাঁকে সাপ-মইয়ের খেলা খেলতে বাধ্য করা, জানায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ ৷
#WATCH | On bail granted to Manish Sisodia, AAP MP Sanjay Singh says, " this is the victory of truth. as i have said earlier, there is no truth="" evidence in this case. our leaders were forcibly put in jail. manish sisodia was kept in jail for 17 months... i thank the supreme court… pic.twitter.com/cmy5Z3M4Bg
— ANI (@ANI) August 9, 2024
এদিন বেঞ্চের তরফে বিচারপতি বিআর গাভাই রায় ঘোষণা করেন ৷ নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়ার জন্যই বিচারপক্রিয়ায় দেরি হচ্ছিল ৷ এই তত্ত্ব খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত ৷ দিল্লি হাইকোর্ট আপ নেতার প্রসঙ্গে বিরুদ্ধ মন্তব্য করেছে ৷ তাও বাতিল করে আদালত ৷ এদিন সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডিকে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলির তদন্তের শেষ কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন করে ৷ ইডি জানায়, আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিসোদিয়া গলা পর্যন্ত ডুবে আছে ৷
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় 2023 সালের 26 ফেব্রুয়ারি সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে ৷ এর দু’সপ্তাহের মধ্যে ইডি হাতেও গ্রেফতার হন ৷ সেই সময়ে দিল্লিতে ক্ষমতাধীন আম আদমি পার্টির নেতা ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ৷ এরপর জেলবন্দি অবস্থায় তিনি পদত্যাগ করেন ৷