আলিগড়, 25 ফেব্রুয়ারি: বড় কর্পোরেট গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা চিনা পণ্যে বাজার ভরিয়ে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয়, ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের কারিগররা ৷ রবিবার আলিগড়ের সভায় এই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ মোরাদাবাদ থেকে সম্বল হয়ে এ দিন আলিগড়ে পৌঁছয় তাঁর 'ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা' ৷
রাহুল গান্ধিকে আলিগড়ে কংগ্রেসের বিপুল সংখ্যক কর্মী এবং বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের শরিক সমাজবাদী পার্টির (এসপি) সমর্থকরা স্বাগত জানান । রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ এ দিন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস হিন্দিতে 'এক্স' হ্যান্ডেলের পোস্টে লিখেছে, "ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা 'জননায়ক' এবং 'লোকনেত্রীর সঙ্গে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব এবং সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে এগিয়ে চলেছে ।"
যাত্রার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে দল বলেছে, "এই জনতা আগামী প্রজন্মের কাছে একটি বার্তা পাঠাবে যে, যখন একজন স্বৈরশাসক দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধানকে ধ্বংস করতে উদ্যত ছিল, আমরা এই যাত্রার মাধ্যমে তাঁকে থামাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছি ।"
আলিগড়ের বিখ্যাত তালা শিল্পের কারিগরদের উল্লেখ করে, রাহুল এ দিন বলেন যে, চিনের তৈরি সস্তা পণ্যের আগমন স্থানীয় ছোট এবং কুটির শিল্পগুলির জন্য মৃত্যুঘণ্টার সমান ৷ তাঁর ভাষণে রাহুল বলেন, "পরের বার যখন আমি এই শহরে আসব, তখন আমি চিনের তৈরি জিনিসগুলির পরিবর্তে 'আলিগড়ের তৈরি' ইলেকট্রনিক সামগ্রী দেখতে চাই ।"
রাহুলের কথায়, "দেশে ক্রমবর্ধমান ঘৃণার পেছনের কারণ হল অবিচার । ভারতে দরিদ্র, কৃষক, যুবক ও মহিলাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে...৷ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' শুরু করেছি । দেশে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, কেন ছড়াচ্ছে, তার কারণ কী ? আমি হাজার হাজার মানুষের কাছে এই প্রশ্নটি করেছি ৷"
জনতার সঙ্গে কথোপকথনের সময় ভোট ব্যাংক প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, "ভাই ও বোনেরা, ভোটব্যাংক নেই, এই ভুল ধারণা রাখবেন না । ভারতের মানুষ, কৃষক ও শ্রমিকরা আমাকে বলেছেন যে হিংসা ও ঘৃণার কারণ হচ্ছে অবিচার । তাই আমরা দ্বিতীয় ভারত জোড়ো যাত্রার নামের সঙ্গে 'ন্যায়' শব্দটি যুক্ত করেছি । কারণ এখন, এই দ্বিতীয় যাত্রা ভারতকে একত্রিত করতে কাজ করছে । এখন, এই দ্বিতীয় যাত্রা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে...৷"
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন যে, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবকদের জন্য আরও একটি ধাক্কা । এ দিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি তাঁর ভাষণে বলেন, "অবিচারের এই সময়ে (অন্যায় কাল)" বেকারত্ব সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে । তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন যে, এর অগ্নিবীর নিয়োগ প্রকল্প প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের জন্য প্রস্তুত তরুণদের স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে । লক্ষ লক্ষ সরকারি পদ খালি পড়ে আছে, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে নিয়োগ অভিযানের কথা ঘোষণা করা হয়নি ৷ আর যখন শূন্যপদ ঘোষণা করা হয়, তখন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় ।
আরও পড়ুন: